যেমন ছিল শুক্রবারের বইমেলা

অমর একুশে বইমেলা। ছবি: ইমরান মাহফুজ

একুশে বইমেলার সপ্তম দিন শুক্রবার বিকেল থেকেই লাইন ধরে মেলায় প্রবেশ করেন পাঠক দর্শনার্থীরা। ছুটির দিন থাকায় সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, বাংলা একাডেমী চত্বর ও এর সামনের স্টলগুলোতে ছিল বইপ্রেমীদের ভিড়।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রচুর মানুষ বইমেলায় এসেছেন এবং বই কিনেছেন। হাতে হাতে নতুন বই। শিশুরা মা-বাবার হাত ধরে মেলায় ঘুরছেন। অনেকে আবার পরিবার-পরিজন নিয়ে এসেছিলেন বইয়ের এই উৎসবে। এবার বইমেলা নিয়ে আশাবাদী প্রকাশকরা।

স্টুডেন্ট ওয়েজ প্রকাশনীর প্রকাশক মুশফিক উল্লাহ তন্ময় জানান, মেলার বিন্যাস অত্যন্ত গোছানো।

'প্রথম থেকে ক্রেতাদের ভিড় রয়েছে। আশা করছি, ধীরে ধীরে বাড়বে বেচাকেনা,' বলেন তিনি।

মিরপুর থেকে এসেছেন আসিফ মাহমুদ। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী মেলায় এসেছেন নতুন বইয়ের ক্যাটালগ সংগ্রহ করতে। শেষের দিকে বই কিনবেন।

উত্তরা থেকে এসেছিলেন রহমত আলী। বাচ্চাদের নিয়ে ছুটির দিনে বইমেলায় ঘুরতে। সকাল থেকে শিশু চত্বর ঘুরে বিকেলে আসেন বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণে। কিনেছেন বেশ কিছু বই। ছুটির দিনে 'শিশু প্রহর' হওয়ায় শিশু-কিশোর আর তাদের অভিভাবকদের সমাগমে মুখর ছিল অমর একুশে বইমেলার প্রথম দুই ঘণ্টা।

কথাসাহিত্যিক আহমদ মোস্তফা কামাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বইমেলার পরিবেশ মোটামুটি ভালো। পাঠক দেখে, ঘুরে বই সংগ্রহ করার মতো বিন্যাস রয়েছে। শুক্রবার ছুটির ভিড় আজ।'

বইমেলার এসেছে ৮৬ নতুন বই। এর মধ্যে কবিতা ২৩টি, উপন্যাস ১২, গল্প ১২, ইতিহাস ও জীবনী চারটি করে, মুক্তিযুদ্ধ পাঁচ, প্রবন্ধ, ভাষা এবং বিজ্ঞান দুটি করে, ভ্রমণ, চিকিৎসা/স্বাস্থ্য, শিশুসাহিত্য, ধর্মীয়, অনুবাদ, রচনাবলী, সায়েন্স ফিকশন। বাংলা একাডেমীর জনসংযোগ উপবিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh-US tariff talks underway in Washington

Based on progress made so far, Bangladesh hopes for a positive outcome

9h ago