হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে বাসের ধাক্কায় গেল মা-শিশু সন্তানের প্রাণ, নিহত আরও ১
![](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/images/2025/02/07/accident_kanchpur_7feb25.jpg)
পাঁচ বছর বয়সী সন্তান আরিয়ান আহম্মেদ রাফিকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন কাকলী আক্তার (৩৫)৷ বাসায় ফেরার জন্য দুই সন্তানকে নিয়ে চেপে বসেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায়৷
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিপরীত দিক থেকে আসা বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হন। দুর্ঘটনায় আরও প্রাণ হারিয়েছেন অটোরিকশাচালক আনিসুর রহমান (২৩)৷
আজ শুক্রবার বিকেলে সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে৷
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোরশেদ দ্য ডেইলি স্টারকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন৷
তিনি জানান, কাকলীর কন্যা ঐশী সুলতানা সেতু (২৩) দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কাকলী গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার আলী আকবরের মেয়ে৷ তিনি স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে কাঁচপুর এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন এবং স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন৷
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে মোরশেদ বলেন, 'কাঁচপুর সেতুর ঢালে ঢাকামুখী লেনে উল্টো পথে চলছিল অটোরিকশাটি। বিপরীত দিক থেকে আসা হিমাচল পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দিলে চালকসহ তিনজনই গুরুতর আহত হন৷ তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন৷'
অটোরিকশাচালক আনিসুর রংপুরের পীরগাছা উপজেলার আব্দুল ওহাবের ছেলে, জানান তিনি৷
কাকলীর স্বামী আশরাফুল আলম পোশাককর্মী হিসেবে কাজ করতেন। বছরখানেক আগে চাকরি হারালে পরিবারটি কাকলীর একার উপার্জনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে৷
'কয়েক দিন ধরে কাশিতে ভুগছিল রাফি৷ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বাসা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে গিয়েছিল কাকলী৷ মেয়ে আর নাতিকে হারালাম, নাতনির অবস্থাও খুব খারাপ,' বলেন কাকলীর বাবা আলী আকবর৷
তিনি জানান, সেতু মুখে আঘাত পেয়েছে, কয়েকটি দাঁত পড়ে গেছে৷ তিনি সরকারি ডেন্টাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷
মোরশেদ বলেন, 'দুর্ঘটনার পর চালক বাস ফেলে পালিয়ে গেছে। বাসটি জব্দ করেছে পুলিশ৷ এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷'
Comments