‘রাইটার্স ব্লকের’ মতন সমস্যায় পড়েছিলেন হৃদয়
অনেক প্রত্যাশা করে তাওহিদ হৃদয়কে দলে নিয়েছিল ফরচুন বরিশাল। তবে বিপিএলে নেমে ম্যাচের পর ম্যাচ তিনি হচ্ছিলেন ব্যর্থ। আড়ষ্টতা ভর করছিলেন তার খেলায়। নিজেও টের পাচ্ছিলেন কোথায় যেন একটা গিট্টু লেগে গেছে। লেখকদের লেখা আটকে যাওয়ার সমস্যা 'রাইটার্স ব্লকের' সঙ্গে পরিচিত হয়ে তারও মনে হচ্ছিলো একই সমস্যায় আক্রান্ত তিনি।
প্লে অফ রাউন্ডের আগে লিগ পর্বের ১২ ম্যাচ খেলে হৃদয় করতে পেরেছিলেন মোটে ১৯৮ রান, গড় ১৬.৫। প্রবল চাপ ভর করছিল তার উপর। অবশেষে প্লে অফে গিয়ে পেলেন রানের দেখা। প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে চিটাগাং কিংসের বিপক্ষে ১৫০ রান তাড়ায় হৃদয় খেলেন ৫৬ বলে ৮২ রানের ইনিংস।
পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানালেন রাইটার্স ব্লকের মতন অদৃশ্য বাধায় জড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি, 'সেদিন "Writer's Block" নামে একটি টার্মের সঙ্গে পরিচিত হলাম। বিস্তারিত পড়াশোনা করে আমার মনে হচ্ছিল, আমিও যেন কোথাও একটা ব্লক খেয়ে আছি। পরিশ্রম করছি নিয়মিত, ধৈর্য ধরেছি, চেষ্টার কমতি নেই; কিন্তু রান হচ্ছিল না। বিশেষ করে গত দুই বিপিএলের পর আমার কাছে সবার প্রত্যাশা ছিলো আকাশচুম্বী।'
রান খরার সময়টা হয় কঠিন। এই সময়ে দরকার মানসিক সমর্থন, সেটা সবচেয়ে বেশি তামিম ইকবালের কাছ থেকে পাওয়ার কথা জানালেন তিনি, 'রান না পাওয়ার আক্ষেপ আমার থেকেও আমি আমার ভক্ত-অনুরাগীদের মধ্যে বেশী দেখেছি। তবে তার থেকে বেশী অনুপ্রেরণা দেখেছি আমার আশে-পাশের মানুষ গুলোর চোখে। তামিম ইকবাল ভাই, কাউকে বোঝাতে পারব না, আপনি অভিভাবক হিসেবে কতোটুকু যথার্থ।'
বরিশালের পুরো সাপোর্ট স্টাফও রেখেছিল তার উপর ভরসা, 'এত প্রত্যাশা থাকার পরেও, পুরো টিমের সবাই প্রতিনিয়ত আমাকে বুঝিয়েছেন, সবই স্বাভাবিক, হৃদয় রানে ফিরবেই! কৃতজ্ঞতা আমার কোচিং স্টাফ, সকল খেলোয়াড়দের প্রতি। ফিজিও বায়েজিদ ভাই, (সহকারী কোচ) শাহীন ভাই, আপনারা দুজন বিশেষ আমার জন্য।'
'ক্রিকেটকে যারা ভালোবাসে, তারা আমাদেরও ভালোবাসে, জানি। ভালো খেললে তালি দেয়, আমরা খারাপ করলে তাদের ভেতরেও হতাশা কাজ করে। সত্যি বলতে, ভক্তদের এই পজিটিভ-নেগেটিভ ফিডব্যাক দুটোই হোক আমাদের শক্তি। ধন্যবাদ মহান রাব্বুল আলামিনকে, ধন্যবাদ ফরচুন বরিশালের সকল সদস্যকে, ধন্যবাদ আমাদের সকল সমর্থককে।'
হৃদয়ের রানে ফেরা বরিশালের জন্য স্বস্তির। ফাইনালের মঞ্চে তিনি জ্বলে উঠলে শিরোপা ধরে রাখা সহজ হবে দলটির। বাংলাদেশ দলও এতে আশাবাদী হতে পারে। আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ছন্দে থাকা হৃদয়কে দরকার বাংলাদেশেরও।
Comments