সিরিয়াকে সুরক্ষা দিতে ঘাঁটি নির্মাণ ও ৫০টি এফ-১৬ মোতায়েন করবে তুরস্ক

তুরস্কের এফ-১৬। ছবি: সংগৃহীত
তুরস্কের এফ-১৬। ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়াকে সুরক্ষিত রাখার জন্য সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের পরিকল্পনা করছে তুরস্ক। পাশাপাশি, অত্যাধুনিক মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমানও মোতায়েন করতে চায় আঙ্কারা।

আজ সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে ইরানের সংবাদমাধ্যম মেহের নিউজ।

এ বিষয়ে জানেন এমন সূত্রের বরাত দিয়ে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম তুর্কিয়ে জানায়, তুরস্ক সিরিয়ায় অন্তত দুইটি সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করতে চায়। অদূর ভবিষ্যতে সিরিয়ায় এফ-১৬ যুদ্ধবিমানও মোতায়েন করতে চায় এরদোয়ানের তুরস্ক।

ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, তুরস্ক-সিরিয়া একটি যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তিতে সাক্ষর করতে যাচ্ছে । এই চুক্তির অধীনে আঙ্কারা যেকোনো তাৎক্ষণিক হুমকি মোকাবিলায় দামেস্ককে সামরিক সহায়তা দেবে।

তুরস্কের এফ-১৬। ছবি: সংগৃহীত
তুরস্কের এফ-১৬। ছবি: সংগৃহীত

পাশাপাশি, তুরস্কের বাহিনী সিরিয়ার সেনাসদস্যদের প্রশিক্ষণও দেবে।

মোট ৫০টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান মোতায়েনের কথা ভাবছে দেশটি।

মার্কিন যুদ্ধবিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিনের ওয়েবসাইটে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের মালিক তুরস্ক। মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশটি স্থানীয় ভাবেই এই যুদ্ধবিমান তৈরি করে। এরকম দেশের সংখ্যা বিশ্বের মোট পাঁচ।

কয়েকটি প্রতিবেদনের তথ্য মতে, তুরস্কের হাতে এ মুহূর্তে ২৩০ থেকে ২৭০টির মতো এফ-১৬ যুদ্ধবিমান রয়েছে।

তুরস্কের এফ-১৬। ছবি: সংগৃহীত
তুরস্কের এফ-১৬। ছবি: সংগৃহীত

অপরদিকে, সিরিয়ার বাফার জোনের কাছে একটি নতুন সেনাঘাঁটি গড়ে তুলছে ইসরায়েল। এর আগে, সিরিয়ায় বেশ কয়েকটি ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।

সম্প্রতি সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছেন বিদ্রোহী গোষ্ঠী এইচটিএসের নেতা আহমেদ আল-শারা। মঙ্গলবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের আমন্ত্রণে আঙ্কারা সফর করবেন শারা।

এটাই হবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম বিদেশ সফর। ডিসেম্বরে সাবেক স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করার পর গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন শারা। 

এক্সে দেওয়া বার্তায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের যোগাযোগ বিভাগের প্রধান ফাওরেত্তিন আলতুন এই তথ্য জানিয়েছেন। 

এর আগে টেলিভিশনে দেওয়া বিবৃতিতে শারা জানিয়েছেন, শক্তিশালী সরকার গঠনই তার মূল লক্ষ্য।

'সিরিয়াতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা এখন সবচেয়ে বড় লক্ষ্য। পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা দরকার। আলোচনার মাধ্যমে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চললেই কেবল নির্বাচন পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব', যোগ করেন তিনি। 

Comments

The Daily Star  | English
charges against Sheikh Hasina at ICT

What are the five charges against Hasina at ICT?

Former home minister Kamal and ex-IGP Mamun have also been accused

1h ago