‘ফেউ’ ওয়েব সিরিজে যারা অভিনয় করেছেন

সিরিজ 'ফেউ' নিয়ে আসছে চরকি অরিজিনাল। আগামী ২৯ জানুয়ারি থেকে সিরিজটি দেখা যাবে।

ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে টিজার। যেখানে একটি সংলাপে শোনা যায়, 'ও সুনীল দা, ফেউ কারা?' জবাবে শোনা যায়, 'এজেন্ট। সরকারি গোয়েন্দা–গে এজেন্ট কয়।'

এবার জানা গেল কারা অভিনয় করছেন এই সিরিজে। তারিক আনাম খান, চঞ্চল চৌধুরী, মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, তানভীর অপূর্ব, হোসেন জীবন, তাহমিনা অথৈ, রিজভি রিজু, ফাদার জোয়া, বাবলু বোস, এ কে আজাদ সেতুকে দেখা যাবে এই সিরিজে।

নির্মাতা সুকর্ন সাহেদ ধীমান বলেন, 'পুরো গল্পজুড়েই ফেউ শব্দটার উপস্থিতি আছে। গল্পের রাজনৈতিক বর্ণনাতেও ফেউ প্রাসঙ্গিক। মানুষের স্বভাবজাত আতঙ্ক-ভয় যখন দৈনন্দিন হয়ে যায়, তখনো সেটা ফেউ শব্দ দিয়ে বোঝানো সম্ভব। এই আতঙ্কের মধ্যে বসবাস এবং উতরে যাওয়ার গল্প নিয়ে ফেউ সিরিজ। তাই সিরিজের নামকরণ ফেউ সবচেয়ে যৌক্তিক মনে হয়েছে।'

অভিনেতা তারিক আনাম খান বলেন, 'কাজী একটি চরিত্র—এলাকায় প্রভাবশালী মানুষ। রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সব জায়গায় তার কর্তৃত্ব আছে কিন্তু সেটা সে বোঝাতে চায় না। এর মধ্য দিয়ে ওই এলাকার রাজনীতি বেশ ভালোভাবে উঠে এসেছে বলে আমার মনে হয়।'

খুলনা অঞ্চলে জন্ম ও বেড়ে ওঠা কিন্তু তিনি কখনো সুন্দরবন দেখেননি। এবারই প্রথম তিনি সুন্দরবনের একদম ভেতরে গিয়ে শুটিং করেছেন।

চঞ্চল চৌধুরী বলেন, 'আমরা যখন শুটিং করেছি তখন ছিল প্রচণ্ড ঠান্ডা। মাস খানেক সুন্দরবনে শুটিং হয়েছে, যার মধ্যে আমি ছিলাম ২০ দিনের বেশি। রাতে যখন লঞ্চে ঘুমাতাম, খুব ঠান্ডা লাগত। আমি শীতের জামা-কাপড় পরেই ঘুমাতাম। তবে ঠান্ডার চেয়েও ভয়ের বিষয় ছিল কুমির। আমাদের লঞ্চ যেখানে নোঙর করা ছিল, সেখানে ছিল কুমিরটা। সকালে জানালা দিয়ে মুখ বের করলেই কুমির এবং আরও বিভিন্ন পশু-পাখি দেখা যেত। আমরা লঞ্চ থেকে শুটিং স্পটে যেতাম ছোট ছোট ট্রলারে। রাতেও শুটিং করতে হতো, খুব কঠিন পরিস্থিতি ছিল।'

১৯৭৯ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ পরগণা জেলার দ্বীপ মরিচঝাঁপিতে ঘটে যাওয়া গণহত্যার ছায়া অবলম্বনে 'ফেউ' নির্মিত হলেও সিরিজটি ফিকশনাল। এর গল্প লিখেছেন সুকর্ন সাহেদ ধীমান ও রোমেল রহমান এবং চিত্রনাট্য করেছেন সুকর্ন সাহেদ ধীমান ও সিদ্দিক আহমেদ।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

1h ago