প্রয়োজনীয় সংস্কার করে চলতি বছরেই নির্বাচন সম্পন্ন করা অত্যন্ত জরুরি: বিএনপি

বিএনপি
মাইকেল মিলারের সঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বৈঠক। ছবি: বিএনপির মিডিয়া সেল

প্রয়োজনীয় সংস্কার করে চলতি বছরেই জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছে বিএনপি।

আজ রোববার বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সঙ্গে বৈঠকের পর আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে দলের এই অবস্থানের কথা জানান।

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে যে বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ সবার মনে প্রশ্ন আছে সেই বিষয়গুলো বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছে... একটি হচ্ছে নির্বাচন... কবে নির্বাচন হতে যাচ্ছে? আমাদের ভাবনা কী? সংস্কারের ব্যাপারে যে আলোচনা হয়েছে... সেই সংস্কারের ব্যাপারে আমাদের ভাবনা কী? মূলত নির্বাচনের রোডম্যাপ এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।'

'আমাদের পক্ষ থেকে আমরা যেটা বলে আসছি, এই বছরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া অত্যন্ত জরুরি। অন্য কোনো ভাবনার দিকে না গিয়ে সরাসরি জাতীয় নির্বাচনের দিকে গিয়ে দেশে আগামী দিনে একটা নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার জন্য।'

খসরু বলেন, 'অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একটি দেশ বেশিদিন চলতে পারে না। অগণতান্ত্রিক সরকারের রাজনৈতিক ওয়েট থাকে না, মবিলাইজেশন প্রসেস থাকে না, জনগণের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকে না। জনগণের কাছ থেকে কোনো ফিডব্যাক পাওয়া যায় না। সুতরাং একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যত তাড়াতাড়ি ফিরে যাওয়া সম্ভব সেদিকে আমরা জোর দিয়েছি।'

রোববার বিকেল সাড়ে তিনটায় রাষ্ট্রদূতের পতাকাবাহী গাড়ি গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রবেশ করে। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, 'সংস্কারের বিষয়ে যেটি আলোচনা হয়েছে সেটা হচ্ছে যে কয়েকটি বিষয়ে আমরা ঐক্যমত্যে যেতে পারব, সেগুলো ইমিডিয়েটলি করা যেতে পারে... সেগুলোর ব্যাপারে সময় নেওয়ার কোনো কারণ নেই।'

'আর যেগুলো ঐক্যমত্য হবে না... সেগুলো আগামী দিনে নির্বাচনে প্রত্যেকটি দল জনগণের কাছে নিয়ে যাবে তাদের যে প্রোগ্রাম নিয়ে যাবে, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আগামী দিনে সংসদে পেশ করা হবে এবং সংসদে আলোচনা হবে, তর্ক হবে-বিতর্ক হবে এবং পাস করা হবে।'

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যেহেতু ইইউর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে আমাদের সঙ্গে তাদের অর্থনীতির...।'

'বিএনপি ক্ষমতায় গেলে যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড তা অব্যাহত থাকবে কি না? আমাদের পক্ষ থেকে পরিষ্কারভাবে বিএনপির অর্থনৈতিক সফলতা আমরা বলেছি... আগামী দিনে দেশের অর্থনীতিকে এই গর্ত থেকে তু্লে আনার জন্য বিএনপি যে কর্মসূচি ইতোমধ্যে নিয়েছে এবং এই সরকারের সময় যদি কোনো কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়া হয় সেটা অবশ্যই আমরা সমর্থন করব। আমাদের দলের অর্থনৈতিক কর্মসূচি আছে, জনগণ আমাদের নির্বাচিত করলে সেই কাজগুলো আমরা করব।'

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে সেজন্য বিনিয়োগকারীদের বিএনপি স্বাগত জানায় বলে জানান আমির খসরু।

Comments

The Daily Star  | English

US lowers Bangladesh tariff to 35% from 37%

Failure to secure a more favourable bilateral agreement by Aug 1 deadline would be a significant blow to the country's export-oriented economy

6h ago