বিএনপি নেতাকর্মীদের লাঠিচার্জের অভিযোগে ২ ওসি প্রত্যাহার

আব্দুল কাদের ও ফিরোজ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটে লাঠিচার্জ করে বিএনপি নেতাকর্মীদের আহত করার অভিযোগে দুই ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

তারা হলেন—লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের ও ডিবি পুলিশের ওসি ফিরোজ হোসেন। 

আজ বুধবার দুপুরে তাদের কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করে লালমনিরহাট পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। 

লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সদরের মোস্তফি এলাকায় একটি কোল্ড স্টোরেজে দাওয়াত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার ও দুই ওসি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আখের ইসলাম। 

সে সময় তিন বিএনপি কর্মী অনুষ্ঠানের ছবি তোলায় পুলিশ তাদের আটক করে। এ খবর বাইরে গেলে শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী সেখানে যান।

পরে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশ কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবিতে রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করলে রাত ১১টার দিকে পুলিশ সড়ক অবরোধকারীদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। 

আহত লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, দুই ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা বিনা কারণে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এতে আমাদের প্রায় ২০ নেতাকর্মী আহত হন।'

'আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে বসা পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচার দাবি করেছিলাম আমরা। এ কারণে পুলিশ আমাদের ওপর চড়াও হয়,' বলেন তিনি।

প্রত্যাহার হওয়া ওসি আব্দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, 'যারা আমাদের খাওয়া-দাওয়ার ছবি তুলছিলেন তারা মাদক কারবারি। তাদের আমরা আটক করেছিলাম। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আমরা সড়ক অবরোধকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছি, বিএনপির কোনো নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করিনি।'

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগ নেতা আখের ইসলামকে আমরা চিনতাম না। কোল্ড স্টোরেজের মালিকের দাওয়াতে আমরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম।'

পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, 'দুই ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
Constitution Reform Commission

Constitution reform commission proposes new principles for Bangladesh

Equality, human dignity, social justice, pluralism will replace nationalism, socialism, secularism

2h ago