হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পেছাল

শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পুলিশের গুলিতে মুদি দোকানদার আবু সায়েদ নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মোক্তারুজ্জামান প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম আবদুল ওয়াহাব নতুন এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর ঢাকার অপর একটি আদালত আজ বুধবারের মধ্যে পুলিশকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ডিবির সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ, ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান ও ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।

গত বছরের ১৩ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালতে মামলাটি করেন মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা এস এম আমির হামজা শাতিল।

৫ আগস্ট ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে যাওয়ার পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এটিই ছিল প্রথম মামলা।

শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট অভিযোগকারীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন এবং মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (এফআইআর) অভিযোগটি নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন।

অভিযোগকারীর আইনজীবী মামুন মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, মামলায় বেশ কয়েকজন অজ্ঞাতনামা শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাকেও আসামি করা হয়েছে।

অভিযোগকারী ভুক্তভোগীর স্বজন নন, তিনি স্বেচ্ছায় মামলা করেছেন বলেও জানান তিনি।

অভিযোগে শাতিল উল্লেখ করেন, ১৯ জুলাই বিকেল ৪টার দিকে আসামিদের নির্দেশে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালালে সাঈদ নিহত হন।

অভিযোগে বলা হয়, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় বসবাস করেন। মামলা করার সক্ষমতা তাদের নেই বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন তিনি।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এখন ২৩৪টি মামলা চলমান, যার মধ্যে ২০৫টি হত্যা, ১৮টি মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা, ৩টি অপহরণ, ১১টি হত্যাচেষ্টা এবং বিএনপির মিছিলে হামলার অভিযোগে একটি মামলা আছে।

এর আগে এ মামলায়সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি ও সাবেক উপক্রীড়ামন্ত্রী আরিফ খান জয়কে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

1h ago