ম্যানসিটির বাজে ফর্মের দায় নিজেকেই দিচ্ছেন গার্দিওলা

সময়টা সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল গত অক্টোবরের শেষেও। ইউরোপের শীর্ষে একমাত্র অপরাজিত দল ছিল ম্যানচেস্টার সিটি। লিগে শীর্ষেও ছিল তারা। কিন্তু বছর শেষ হতে শীর্ষস্থানের ধারেকাছেও নেই দলটি। একের পর এক হার আর হোঁচটে যেন জিততেই ভুলে গেছে তারা। দলটির এমন বাজে ফর্মের জন্য নিজেকেই কাঠগড়ায় তুলছেন কোচ পেপ গার্দিওলা।

অথচ গত চার বছরের প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয়ী দলটির নাম ম্যানচেস্টার সিটি। এবং গত সাত বছরে ছয়বার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। এ মৌসুমে এখন লিগের শীর্ষস্থানে থাকা লিভারপুলের চেয়ে ১৪ পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে দলটি।

রোববার লেস্টার সিটির বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়টি ছিল তাদের শেষ ১৪ ম্যাচে মাত্র দ্বিতীয় জয়। যা বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিখের সফল কোচিং ক্যারিয়ারের পর এটাই গার্দিওলার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে খারাপ সময়।

এই প্রসঙ্গে গার্দিওলা বলেন, 'একজন ম্যানেজার হিসেবে অনেক কিছু বিবেচনা করতে হয়, এবং আমি কিছু মিস করেছি – এমন কিছু যা আমি সঠিকভাবে করতে পারিনি। যখন আপনি অনেক ম্যাচ হেরে যান, তখন ম্যানেজারের জন্য অসাধারণ একটি দায়িত্ব হয়ে দাঁড়ায়। দলটির কিছু প্রয়োজন ছিল, আত্মবিশ্বাস চেয়েছিল, আর আমি তা দিতে পারিনি। সবকিছুর জন্য দায় আমার, খেলোয়াড়দের নয়। খেলোয়াড়দের ফর্ম কিছুটা কমে গেছে, যা স্বাভাবিক। গত মৌসুমেও এমনটা কিছুটা হয়েছিল।'

তবে এর আগেও পিছিয়ে থেকে লিগ শিরোপা জেতার রেকর্ড রয়েছে সিটির। তবে তখনকার সময়ের পারফরম্যান্স এতটা বাজে কখনো হয়নি। গার্দিওলার ভাষায়, 'এই ধারাবাহিক হারের মধ্যেও আমি সমাধান খুঁজে বের করতে পারতাম, আর সেজন্যই আমরা আজকের অবস্থানে। আমি নিজেকেই দোষ দিচ্ছি। এটা বলার জন্য নয় যে, 'পেপ কত ভালো' – এটা বাস্তবতা। আমি এই দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছি, এবং তাদেরকে অনুপ্রাণিত করতে পারিনি। এটাই সত্য।'

চলতি মৌসুমে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের চোটের কারণে মাঠের বাইরে রয়েছে। যার মধ্যে ব্যালন ডি'অর জয়ী মিডফিল্ডার রদ্রিও রয়েছেন। গার্দিওলা বারবার এটা উল্লেখ করে বলেছেন, 'আমরা ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ইউরোপের একমাত্র অপরাজিত দল ছিলাম এবং লিগের শীর্ষে ছিলাম। কিন্তু চোট আর অন্যান্য কারণে হঠাৎই আমরা নিচে নেমে গেলাম। তবুও, আমি আরও ভালো ফলাফল আনতে সমাধান খুঁজে বের করতে পারতাম।'

Comments

The Daily Star  | English

Hasnat warns media against airing Hasina’s speech

Vows to free Bangladesh from the 'pilgrimage site of fascism'

2h ago