শীতে নিরাপদে মোটরসাইকেল চালাতে প্রয়োজনীয় সেফটি গিয়ার ও পোশাক

মোটরসাইকেল
ছবি: সংগৃহীত

শীতকালে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে মোটরসাইকেল চালকরা নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। কুয়াশায় চারপাশ অন্ধকার এবং শিশির পড়ে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে যাওয়াটা মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে। তাই ঠান্ডা বাতাস, অন্ধকারাচ্ছন্নতা ও অপ্রত্যাশিত বৃষ্টি থেকে নিরাপত্তার জন্য রাইডারদের উপযুক্ত পোশাক পরা জরুরি। এগুলো শরীরের জন্য অনেকটা প্রতিরক্ষামূলক বর্মের মতো কাজ করে। তবে এর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কেনার সময় এর গুণগত মান যাচাই করে নেওয়া উচিত। এই প্রয়োজনীয় পোশাক ও আনুষঙ্গিক নিরাপত্তা সামগ্রী নিয়েই আজকের নিবন্ধ। চলুন, শীতকালীন বাইক চালনাকে উপভোগ্য এবং নিরাপদ করতে উপকারী পরিধেয় সম্বন্ধে বিশদ জেনে নেওয়া যাক।

শীতকালে নিরাপদ বাইক রাইডিংয়ে ১০টি দরকারি গিয়ার ও পোশাক

থার্মাল বেস লেয়ার

এই স্কিন-টাইট পোশাকগুলো শরীরে তাপ ধরে রাখার পাশাপাশি আর্দ্রতা দূর করতেও সক্ষম। ফলে এগুলো পরে বাইক চালানোর পুরো সময়টাজুড়ে চালক উষ্ণ ও শুষ্ক থাকে। টি-শার্ট ও প্যান্টগুলোর মূল উপকরণ হিসেবে থাকে মেরিনো উল বা পলিয়েস্টার; কখনো বা দুটোরই সংমিশ্রণ ঘটানো হয়। এতে করে লেয়ারগুলো ত্বকের সঙ্গে খুব সহজভাবে ফিট করে।

ময়েশ্চার-দূরীকরণ বৈশিষ্ট্যের কারণে আকস্মিক ঘেমে যাওয়ার অস্বস্তির আশঙ্কা থাকে না। তা ছাড়া উপাদানগত দিক থেকে শুষ্ক হওয়ায় এটি প্রচণ্ড ঠান্ডাজনিত আঘাতের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। বাইক চালকের শরীরের ভারসাম্যপূর্ণ উষ্ণতা ও শুষ্কতা বজায় রাখতে এই থার্মাল বেস লেয়ার প্রথম প্রতিরক্ষা পদক্ষেপ।

বাজারে টাইট টি-শার্টগুলো সাধারণত ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকায় পাওয়া যায়। তবে উচ্চমানের পলিয়েস্টারের বেস লেয়ার পেতে হলে চার থেকে আট হাজার টাকা খরচ করতে হবে।

মোটরবাইক জ্যাকেট

বাইক চলমান অবস্থায় অগ্রহায়ণের হাল্কা শীতেও শরীরে কাঁপুনি ধরে যাওয়ার যোগাড় হয়। এ থেকে রক্ষা করতে পারে হিটেড রাইডিং জ্যাকেটগুলো। নমনীয়তার পাশাপাশি তাপ সুরক্ষা প্রদান এগুলোর বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এগুলোর ভেতরে সাধারণত ডাউন বা সিনথেটিক নিরোধকের মতো তাপীয় আস্তরণ থাকে, যেগুলোর মূল কাজ হচ্ছে শরীরে তাপ ধরে রাখা।

উপরন্তু, বায়ুরোধী ও জল-প্রতিরোধী উপকরণগুলো ঠান্ডা বাতাস ও বৃষ্টিতে নির্ভরযোগ্য ঢাল হিসেবে কাজ করে।

এই বাইক জ্যাকেটগুলো সাধারণত ৭০০ থেকে শুরু করে তিন হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। তবে ব্র্যান্ডেরগুলোর দাম আট থেকে ১২ হাজার টাকা।

জলরোধী রাইডিং প্যান্ট

ভেজা পরিবেশ, কুয়াশা, এমনকি ঘর্মাক্ত কলেবর অবস্থার জন্য যথেষ্ট উপযোগী এই প্যান্টগুলো। যেকোনো পরিস্থিতিতে সব ধরনের স্যাঁতসেঁতে ও আর্দ্রতা ভাব দূর করাই এই পরিধেয়ের প্রধান বৈশিষ্ট্য।

অধিকাংশ রাইডিং প্যান্ট বানানো হয় ভেড়ার লোম বা অন্যান্য তাপ অন্তরক উপকরণ দিয়ে। রেখাযুক্ত প্যান্টগুলো ঠান্ডা থেকে সুরক্ষার এক অতিরিক্ত স্তর যোগ করে। অনেক ক্ষেত্রে এগুলোতে বায়ুপ্রবাহ ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য থাকে ভেন্ট। তদুপরি, এদের টেকসই ফ্যাব্রিক দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে।

বাজারে এগুলোর দাম ন্যূনতম দুই থেকে ছয় হাজার টাকা। ব্র্যান্ডেরগুলোতে খরচ পড়বে পাঁচ থেকে ১৩ হাজার টাকা।

মোটা গ্লাভস

মোটরসাইকেলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চালককে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজে লাগাতে হয় তার হাত দুটোকে। তাই হিমবাহতে কোনোভাবেই যেন হাত অসাড় বা জড়সড় হয়ে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখা আবশ্যক। নতুবা একটু বেখেয়ালে ভয়াবহ কোনো বিপদ ঘটতে পারে।

এই ঝুঁকি থেকে দূরে থাকতেই প্রয়োজন মানসম্পন্ন এক জোড়া গ্লাভস। এগুলোর অতিরিক্ত প্যাডিং ও নিরোধক বৈশিষ্ট্য কনকনে ঠান্ডায়ও হাতকে গরম রাখে। চামড়া বা একাধিক উপকরণের মিশ্রণে তৈরি সংকর কৃত্রিম কাপড় গ্লাভের স্থায়িত্ব এবং বায়ুরোধী ক্ষমতার জন্য দায়ী। কিছু সংস্করণ দীর্ঘক্ষণ যাবৎ শৈত্যপ্রবাহতেও হাতকে বাইকের গ্রিপের ওপর সক্রিয় রাখে। একইসঙ্গে হ্যান্ডেলবার থেকে হাতের তালুর পিছলে যাওয়াও প্রতিরোধ করে।

নিদেনপক্ষে ৫০০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকার মধ্যে পাওয়া গ্লাভগুলো দিয়ে যথেষ্ট কাজ চালানো যায়। তবে অতিরিক্ত সুরক্ষিত ও অত্যাধুনিক ফিচারযুক্ত সংস্করণগুলোর দাম শুরু হয় দেড় হাজার টাকা থেকে।

তাপ সঞ্চালক গ্রিপ্স ও সিট কভার

দীর্ঘ যাত্রার সময় মোটরসাইকেলকে সঠিক অবস্থানে রাখার জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুটি অংশ হচ্ছে গ্রিপ ও সিট। নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রেখে বাইককে সঙ্গতিপূর্ণ গতিতে চালানোর জন্য চালকের আরামে বসে গ্রিপে স্বাধীনভাবে হাত রাখাটা জরুরি। শীতের মৌসুমে প্রায় ক্ষেত্রে এই অবস্থানটি সঠিক রাখা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে তাপ সঞ্চালনকারী গ্রিপ অসাড়তা কাটিয়ে হাতের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখতে সহায়ক হয়। বর্তমানে উচ্চমানের গ্রিপে সাধারণত তাপ কমবেশি করার সুবিধা পাওয়া যায়।

অপরদিকে, শক্ত পৃষ্ঠের পরিবর্তে তাপ প্রদানকারী নমনীয় সিট কভার শীতলতার বদলে আরামদায়ক উষ্ণতা দেয়। এই প্রয়োজনীয় তাপের কারণে চালনার পুরোটা সময়জুড়ে মোটরসাইকেল কেবল নিয়ন্ত্রণেই থাকে না, বরং ঠান্ডার চিন্তা বাদ দিয়ে চালক সামনের রাস্তার দিকে ফোকাস দিতে পারেন।

গ্রিপগুলোর দাম সাধারণত দুই থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। রাবারেরগুলো অবশ্য ৫০০ থেকে এক হাজারের মধ্যেই পাওয়া যায়। আর সিট কভারের জন্য খরচ করতে হবে এক হাজার থেকে তিন হাজার টাকা।

কুয়াশারোধী ভিসরসহ ফুল-ফেস হেলমেট

যেকোনো মৌসুমেই মোটরসাইকেল চালানো সময় নিরাপত্তাজনিত সবচেয়ে বড় অনুষঙ্গ হচ্ছে হেলমেট। শীতের ক্ষেত্রে এর তাৎপর্য আরও বহুগুণে বেড়ে যায়। মাথা, ঘাড়সহ পুরো মুখমন্ডল আবৃত রাখার পরেও দৃষ্টির সুবিধার্থে আরও একধাপ এগিয়ে যোগ করতে হবে অ্যান্টি-ফগ ভিসর। এই স্বচ্ছ দৃষ্টি বন্ধনীর মাধ্যমে ঠান্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশার ভেতরেও সামনের সড়ক পরিষ্কারভাবে দেখতে পারা যায়।

সাধারণ গ্লাসগুলো প্রায় শিশিরে ভিজে সামনের পথ ঝাপসা করে দেয়, যা মারাত্মক বিপদের কারণ হতে পারে। সেখানে কুয়াশারোধী ভিসরসহ হেলমেট সর্বাঙ্গীনভাবে গোটা মুখমন্ডলকে সুরক্ষা দেয়। শৈত্যপ্রবাহের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলেও এই আবরণ ভেতরে ভারসাম্যপূর্ণ বায়ুচলাচল অব্যাহত রাখে। ফলে দীর্ঘক্ষণ ধরে বদ্ধ থাকার কারণে মাথা, মুখ ও ঘাড় ঘামে ভিজে যায় না।

সাধারণ এক থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকাতে মোটামুটি ভালোমানের হেলমেট কেনা যায়। তবে ব্রেথ গার্ড ও চিবুক ডিফ্লেক্টরসহ ভালো মানের ভিসার নিতে হলে আট থেকে ১০ হাজারের উপরে খরচ হতে পারে।

মাংকি টুপি বা বালাক্লাভা

শীতের প্রকোপ থেকে ঘাড় ও মুখের উন্মুক্ত অঞ্চলগুলোকে মুক্ত রাখার জন্য একটি চমৎকার উপায় হচ্ছে বালাক্লাভা। ঘাড় থেকে শুরু করে (চোখ বাদে) নাক-মুখ ও মাথা আবৃত করা এই টুপি বরফ-ঠান্ডা বাতাসের বিপরীতে প্রয়োজনীয় তাপের যোগান দেয়।

জ্যাকেটের কলারের সঙ্গে এর প্রান্তদেশ মসৃণভাবে ফিট হয়ে যায় বিধায় জ্যাকেটের ভেতরে বাতাস প্রবেশ করতে পারে না। থার্মাল বেস লেয়ারের মতো এতেও আছে আর্দ্রতা-দূরীকরণ বৈশিষ্ট্য। তাই চলমান মোটরসাইকেলে থাকা অবস্থায় সারাক্ষণ পড়ে থাকলেও ঘাম জমে ওঠার ঝামেলা নেই।

দেশজুড়ে জনপ্রিয় এই মাংকিটুপির মূল্য গড়ে ৩৫০ থেকে ৭৫০ টাকা।

সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমন পরিধেয়

মাঘ মাসের দিকে ঘন কুয়াশার দিনগুলোতে অনেক সড়কে কাছাকাছি গাড়ির অবয়বকে স্পষ্টভাবে বোঝা সম্ভব হয় না। তা ছাড়া আন্তঃজেলা মহাসড়কগুলোতে বড় বড় গাড়ির অবস্থান বোঝা গেলেও পাশ কাটানোর সময় দূরত্ব বোঝা মুশকিল হয়ে পড়ে। আর এই কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার সৃষ্টি হয়।

এমন ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি এড়াতে মোটরসাইকেল আরোহীরা রিফ্লেক্টিভ ভেস্ট বা উজ্জ্বল হলুদ বা কমলার মতো ফ্লুরোসেন্ট রঙের জ্যাকেট পরতে পারেন। এই পরিধেয়গুলোতে থাকে একাধিক রিফ্লেক্টিভ স্ট্রিপ বা প্যানেল, যেগুলোর কারণে খারাপ আবহাওয়া এমনকি রাতেও যে কেউ নিকট দূরত্ব থেকে চালককে শনাক্ত করতে পারেন। ওজনে বেশ হাল্কা হওয়ায় অন্যান্য পোশাকের উপরেই পরা যেতে পারে এই বিশেষ আবরণটি।

এ ধরনের পোশাকের মূল্য গড়পড়তায় ৭০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকা।

তাপধারক রেখাযুক্ত জলরোধী বুট

দীর্ঘ যাত্রায় মোটরসাইকেল চালনায় হাতের পাশাপাশি পায়েরও রয়েছে সমান গুরুত্ব। তাই অতিরিক্ত ঠান্ডায় পা যেন অসাড় হয়ে অকেজো হয়ে না পড়ে, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। এক্ষেত্রে তাপধারক রেখাযুক্ত জলরোধী লম্বা বুট যথেষ্ট উপকারী। উপাদানগত দিক থেকে এগুলো প্রতিকূল আবহাওয়ার বিরুদ্ধে সক্রিয় থাকার জন্য উপযোগী। শিলাবৃষ্টির শিলা, শিশির বা অন্যান্য ধুলাবালি এই বুটের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে না।

তাপধারক রেখা অংশের প্রধান উপকরণ হলো ভেড়ার লোম, যা পায়ের জন্য পরিমিত উষ্ণতা সঞ্চিত রাখে। এগুলোর মধ্যে কিছু কিছু সংস্করণে নন-স্লিপ সোল থাকে, যা বরফ বা ভেজা পৃষ্ঠে ট্র্যাকশন দেয়। ফলে পিচ্ছিল রাস্তায় বাইক থেকে নামতে গিয়ে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

উচ্চমানের বুটগুলোর দাম ছয় থেকে শুরু করে ১২ হাজার টাকারও বেশি হয়ে থাকে। তবে কিছু রেইন বুট রাইডিংয়ের জন্য উপযোগী, যেগুলোর ৮০০ থেকে দুই হাজার টাকায় পাওয়া যেতে পারে।

অত্যাধুনিক নিরাপত্তা গ্যাজেট

রাইডিং অভিজ্ঞতায় নিরাপত্তার নতুন মাত্রা এবং আত্মবিশ্বাস যোগ করতে প্রয়োজন উন্নত নিরাপত্তা গ্যাজেট। যেমন: টায়ার প্রেশার মনিটর সাইকেলের চাকার টায়ারের চাপ সর্বোচ্চ মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করতে কাজে লাগে। আধুনিক বেশ কিছু বাইকে এই মনিটরিং ব্যবস্থা দেখা যায়।

আরও একটি উদ্ভাবনী গ্যাজেট হচ্ছে হিটেড ভিসর সিস্টেম, যেটি হেলমেট ভিসরের কুয়াশা ও জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে।

জিপিএস ডিভাইসগুলো প্রতিকূল পরিবেশে অপরিচিত জায়গায় পথ চিনে চলতে সহায়তা করে। এই ডিভাইসগুলোর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এগুলো তাৎক্ষণিকভাবে সামনের কোনো স্থানের আবহাওয়া কেমন রয়েছে তা আগে থেকে জানান দেয়।

এখানে মোটামুটি ভালোমানের প্রেসার মনিটরের জন্য বাজেট রাখতে হবে ৮০০ টাকার মতো। ফগ লাইটের দাম ২৫০ থেকে ৫৫০ টাকা এবং জিপিএস ট্র্যাকার পাওয়া যেতে পারে এক হাজার ৫০০ থেকে চার হাজার টাকায়।

শেষাংশ

শীতে মোটরসাইকেল চালনার ঝুঁকিগুলো মোকাবিলায় এই পরিধেয় ও সেফটি গিয়ারগুলো সংগ্রহের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। থার্মাল বেস লেয়ার, ইনসুলেটেড জ্যাকেট, ওয়াটারপ্রুফ রাইডিং প্যান্ট, হিটেড গ্রিপ্স এবং বালাক্লাভা সম্মিলিতভাবে তীব্র ঠান্ডা থেকে সুরক্ষা দেয়। উপরন্তু, গ্লাভস, অ্যান্টি-ফগ ভিসরসহ ফুল-ফেস হেলমেট, হাই-ভিজিবিলিটি গিয়ার এবং জলরোধী বুটের মতো সামগ্রীগুলো প্রতিকূল আবহাওয়ায় বাইক নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। সর্বোপরি, এগুলোর সঙ্গে অত্যাধুনিক নিরাপত্তা গ্যাজেটের সমন্বয় সার্বিক নিরাপত্তায় যুক্ত করতে পারে অনন্য মাত্রা।

Comments

The Daily Star  | English

Parking wealth under the Dubai sun

The city’s booming real estate has also been used by Bangladeshis as an offshore haven to park wealth for a big reason

6h ago