মুর্শিদার ১৭০ রান ছাপিয়ে ১৭১ করে ফের চূড়ায় জ্যোতি
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) প্রথম রাউন্ডে ১৫৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। তাকে টপকে যাওয়া সতীর্থ মুর্শিদা খাতুনের ব্যাট থেকে এলো ১৭০ রান। কিন্তু সেই কীর্তি টিকল না বেশিক্ষণ। ১৭১ রান করে আবার বাংলাদেশের নারীদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের মালিক হলেন জ্যোতি।
শনিবার আসরের দ্বিতীয় রাউন্ডে রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের খেলা ড্র হয়েছে। দ্বিতীয় দিনের ২ উইকেটে ২৪২ রান নিয়ে খেলতে নামে মধ্যাঞ্চল। ম্যাচ সমতায় শেষ হওয়ার আগে তারা প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ৫২৮ রান করে। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে পূর্বাঞ্চল প্রথম ইনিংসে ৩৫৪ রানে অলআউট হয়।
তিন দিনের লড়াইয়ে মূলত ব্যাটাররা ছড়ি ঘোরান। মধ্যাঞ্চলের ওপেনার মুর্শিদা ও অধিনায়ক জ্যোতির আগে সেঞ্চুরির দেখা পান পূর্বাঞ্চলের ওপেনার দিলারা দোলা। সব মিলিয়ে দুই ইনিংসও পূর্ণ হয়নি।
দুই অপরাজিত ব্যাটার মুর্শিদা ১২২ ও জ্যোতি ৬৪ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের সকালে খেলতে নামেন। দুজনের ব্যাটে মধ্যাঞ্চলের রানের চাকা সচল থাকে। ২৬৩ বলে দেড়শ স্পর্শ করেন মুর্শিদা। তাকে ফিরতে হয় মধ্যাহ্ন বিরতির আগে। ফাহিমা খাতুনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে বিদায় নেন তিনি। ২৮৬ বল মোকাবিলায় ২৩টি চার মারেন মুর্শিদা। জ্যোতির সঙ্গে তার তৃতীয় উইকেট জুটি ছিল ২২৮ রানের। পূর্বাঞ্চলের অধিনায়ক ফাহিমা এরপর রানের খাতা খুলতে দেননি স্বর্ণা আক্তারকে।
দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে ২১৮ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন চারে নামা জ্যোতি। আসরে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। নারীদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে দুটি সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন তিনি।
তিন অঙ্ক ছুঁয়ে ইনিংস আরও লম্বা করেন ম্যাচসেরা জ্যোতি। পঞ্চম উইকেটে শারমিন আক্তার ছোঁয়ার সঙ্গে ৭৯ ও ষষ্ঠ উইকেটে নাহিদা আক্তারের সঙ্গে ৪৮ রানের জুটি গড়েন তিনি। ২৯২ বলে দেড়শ স্পর্শ করে শেষমেশ থামেন মুর্শিদার চেয়ে ১ রান বেশি করে। তাজ নেহারের বলে শরিফা খাতুনের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ৩২২ বল খেলা জ্যোতির ব্যাট থেকে আসে ১৮টি চার।
শেষ বিকালে ঝড় তোলেন মধ্যাঞ্চলের দিশা বিশ্বাস। প্রতিপক্ষের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে ৪৩ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি। দুই দল ড্র মেনে নেওয়ার আগে তিনি ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৪৪ বলে ছয়টি চার ও একটি ছক্কা মারেন তিনি। পূর্বাঞ্চলের পক্ষে তিনটি করে উইকেট নেন ফাহিমা ও তাজ।
Comments