রিউমর স্ক্যানারের প্রতিবেদন

হিন্দু নারীকে হেনস্তার দাবি করে মিথ্যা প্রচারণা

রিউমর স্ক্যানার
ছবি: রিউমর স্ক্যানারের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

হিজাব পরিধান না করার কারণে বাংলাদেশের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে একজন হিন্দু উপজাতি নারীকে উগ্র ইসলামপন্থীরা মারধর করেছে দাবি করে প্রচার করা ভিডিওটি সঠিক নয় বলে জানিয়েছে ফ্যাক্টচেকিং প্ল্যাটফর্ম রিউমর স্ক্যানার বাংলাদেশ।

আজ শুক্রবার রিউমর স্ক্যানার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

সম্প্রতি ইন্টারনেটে একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, হিজাব পরিধান না করার কারণে বাংলাদেশের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে একজন হিন্দু উপজাতি নারীকে উগ্র ইসলামপন্থীদের দ্বারা মারধরের ঘটনার ভিডিও এটি।

কিন্তু রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এই ভিডিওটি বাংলাদেশি মুসলিম কর্তৃক কোনো হিন্দু নারীকে মারধরের ঘটনার নয়। বরং এই ভিডিওটির ব্যক্তি একজন তৃতীয় লিঙ্গের মুসলিম এবং তার নাম আরোহী ইসলাম।

রিউমর স্ক্যানার
ছবি: রিউমর স্ক্যানারের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে মূলধারার গণমাধ্যম কালবেলার ইউটিউব চ্যানেলে গত ১৪ সেপ্টেম্বর 'সৈকতে নারীকে হেনস্তা করা সেই ঘটনার নেপথ্যে কী' শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই ভিডিওটির সঙ্গে আলোচিত ভিডিওটির মিল পাওয়া যায়।

ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেসময় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে ওই ব্যক্তি হেনস্তার শিকার হন। তবে এই প্রতিবেদন থেকে ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।

জাতীয় দৈনিক আজকের পত্রিকার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তার নাম আরোহী ইসলাম। বয়স ২০ বছর। তিনি একজন তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি।

হেনস্তার শিকার আরোহী ইসলাম বাদী হয়ে সেসময় দুজনের নাম উল্লেখ করে এ ঘটনায় মামলা করেন।

তা ছাড়া বিবিসি বাংলায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নারী হেনস্তার ঘটনায় ওই হয়রানির সূত্রপাত লাঠি হাতে থাকা যে যুবকের মাধ্যমে, তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়েরের পর সেসময় তাকে আদালতে পাঠানো হয় বলে পুলিশ জানায়।

রিউমর স্ক্যানার
ছবি: রিউমর স্ক্যানারের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

ভিডিও দেখে জড়িতের পরিচয় শনাক্ত করার পর পুলিশ জানিয়েছে, তার নাম ফারুকুল ইসলাম এবং তার বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায়।

সুতরাং, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আরোহী ইসলাম নামে তৃতীয় লিঙ্গের মুসলিম ব্যক্তিকে হেনস্তার ঘটনাকে হিন্দু উপজাতি নারীকে হেনস্তার ভিডিও দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে, যা বিভ্রান্তিকর।

Comments