জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টি

তামিমের ঝড়ের পর বিফলে গেল তৌফিকের ১৯ বলে ফিফটি

ছবি: বিসিবি

তামিমের ঝড়ো হাফসেঞ্চুরিতে সিলেট বিভাগকে রান তাড়ার শক্ত চ্যালেঞ্জ দিল চট্টগ্রাম বিভাগ। ওপেনার তৌফিক খান তুষারের একক তাণ্ডবে লম্বা সময় কক্ষপথেই থাকল সিলেট। তাকে বিদায়ের স্বস্তির পর বাকি কাজ অনায়াসে সারল চট্টগ্রাম।

বৃহস্পতিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আউটার মাঠে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টিতে ১২ রানে জিতেছে চট্টগ্রাম। কুয়াশার কারণে ১৫ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৪৫ রানে থামে তারা। জবাবে আশা জাগালেও ৪ বল বাকি থাকতে সিলেট অলআউট হয়ে যায় ১৩৩ রানে।

ওপেনিংয়ে নেমে ৬৫ রান করেন ম্যাচসেরা তামিম। মাত্র ৩৩ বল মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক আটটি চারের সঙ্গে হাঁকান তিনটি ছক্কা। হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে তিনি খেলেন ২৭ বল। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এটি তামিমের পঞ্চাশতম ফিফটি। নয় মাস পর প্রতিযোগিতামূলক টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমে আগের দিন ব্যর্থ ছিলেন তিনি। রংপুর বিভাগের বিপক্ষে বোল্ড হন ১০ বলে ১৩ রান করে। সেই ব্যর্থতা কাটিয়ে এদিন ব্যাট হাতে পুরনো ঝলক দেখান বাঁহাতি ওপেনার।

পরে বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে তামিমকে ছাপিয়ে যান তৌফিক। স্রেফ ১৯ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করা সিলেটের ওপেনার থামেন ৭৬ করে। ৩৬ বল খেলে সাতটি চার ও ছয়টি ছক্কা মারেন তিনি। কিন্তু দায়িত্ব নিতে পারেননি তার আর কোনো সতীর্থ। সিলেটের ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ রান আসে অতিরিক্ত খাত থেকে।

চট্টগ্রামের লড়াইয়ের পুঁজি পাওয়ার পেছনে মূল কৃতিত্ব অভিজ্ঞ তারকা তামিমের। পার্শ্বনায়কের ভূমিকায় ছিলেন আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। উদ্বোধনী জুটিতে দুজন ৬.৫ ওভারে যোগ করেন ৮০ রান। জয় ১৭ বলে তিনটি চার ও দুটি ছক্কায় করেন ২৯ রান।

তামিমের আগ্রাসী ইনিংস থামে একাদশ ওভারের দ্বিতীয় বলে। তোফায়েল আহমেদকে ছক্কায় ওড়াতে দিয়ে তিনি লং অফে ধরা পড়েন সৈয়দ খালেদ আহমেদের হাতে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো চট্টগ্রাম এরপর রান তোলার গতি বজায় রাখতে পারেনি। প্রথম ৮ ওভারে ১ উইকেটে ৯৮ রান তোলা দলটি পরের ৭ ওভারে ৪৭ রান করতে খোয়ায় ৮ উইকেট। নইলে তাদের সংগ্রহ আরও বড় হতে পারত।

তামিম ও জয় ছাড়া দুই অঙ্কে পৌঁছান কেবল ছয়ে নামা সাব্বির হোসেন শিকদার। তিনি ১২ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ১৫ রান করেন। সিলেটের হয়ে ৩ ওভারে ১৯ রানে ৪ উইকেট নেন অভিজ্ঞ পেসার খালেদ। ভীষণ আঁটসাঁট ছিলেন আরেক পেসার তোফায়েল। ৩ ওভারে একটি মেডেনসহ ২ উইকেট শিকার করতে তার খরচা মাত্র ৭ রান।

জবাব দিতে নেমে টপাটপ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই ভীষণ বিপদে পড়ে সিলেট। দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ১৪ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন তিন ব্যাটার। জিশান আলম, অমিত হাসান ও আসাদুল্লাহ আল গালিবের কেউই রানের খাতা খুলতে পারেননি।

তৌফিকের তাণ্ডবে চতুর্থ উইকেটে ৪২ বলে ৭৯ রানের জুটি গড়ে ওঠে। সেখানে ঢিমেতালে খেলতে থাকা ওয়াসিফ আকবরের অবদান ছিল ১৭ বলে ১৩ রান। একাদশ ওভারে তৌফিক ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে আউট হলে ম্যাচ থেকে তখনই একরকম ছিটকে পড়ে সিলেট। স্পিনার নাঈম হাসানকে টানা দুটি চার মারার পর ছক্কায় ওড়াতে গিয়ে কাটা পড়েন তিনি। ডিপ মিড উইকেটে ডানদিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ নেন হাসান মুরাদ।

চট্টগ্রামের হয়ে নাঈম ৩ ওভারে ১৭ রানের বিনিময়ে নেন ৩ উইকেট। আরেক স্পিনার মুরাদ সমান ওভারে ২৫ রান খরচায় পান সমানসংখ্যক উইকেট। ২ উইকেট যায় আহমেদ শরিফের ঝুলিতে।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh sees window of opportunity in Trump’s trade war

US President-elect Donald Trump’s trade policies towards China and Mexico could ultimately benefit Bangladesh, according to local apparel exporters.

9h ago