টাঙ্গাইলে সম্প্রীতি সমাবেশ: ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান

জেলা সদরের হেলিপ্যাড এলাকা থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে পুলিশ লাইনসে গিয়ে শেষ হয়। ছবি: স্টার

সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন অটুট রাখার প্রত্যয়ে টাঙ্গাইল জেলার সকল ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে সম্প্রীতি র‌্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের আয়োজনে 'সম্প্রীতির ঐকতানে গাহি সাম্যের গান' স্লোগানে এই সমাবেশ হয়। 

এই সমাবেশ উপলক্ষে সকালে জেলা সদরের হেলিপ্যাড এলাকা থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুলিশ লাইনসে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানকার মাল্টিপারপাস শেডে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম সানতুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা ইমাম মুয়াজ্জিন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, মোকাব্বির হোসেন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি চিত্তরঞ্জন সরকার, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার গুণ ঝন্টু, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বোর্ডের সভাপতি বাবু শ্যামল হোড়, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাধন চন্দ্র চক্রবর্তী, গারোদের সংগঠন জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জন জেত্রা, টাঙ্গাইল হিন্দু কল্যাণ ট্রাষ্টের সহকারী পরিচালক রমেশ চন্দ্র সরকার এবং জেলা জজ কোর্টের পিপি শফিকুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
    
জেলায় বিভিন্ন ধর্মের মানুষ অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির সঙ্গে দীর্ঘকাল ধরে একসঙ্গে বসবাস করে আসছে উল্লেখ করে বক্তারা এই সম্প্রীতি বিনষ্টের দেশি-বিদেশি সব চক্রান্ত প্রতিহত করতে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
  
পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু বলেন, 'সব ধর্মের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য এবং সম্প্রীতির সহাবস্থানের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার অভিপ্রায়ে জেলা পুলিশের এই আয়োজন।'

উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলায় চল্লিশ লাখের বেশি মানুষের বসবাস এবং এরমধ্যে প্রায় তিন লাখ সনাতন ধর্মাবলম্বী। রাজধানীর কাছাকাছি অবস্থিত জেলাটিতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দীর্ঘকালের ঐতিহ্য রয়েছে। 

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

3h ago