‘৩৬ জুলাই: নির্ভীকদের অভিবাদন’

প্রদর্শনীর ছবি দেখছেন অতিথিরা। ছবি: স্টার

ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার অদম্য সাহস, দৃঢ়তা ও ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে সেই সময়ের আলোকচিত্র, ভিডিও ও সংবাদ প্রতিবেদন নিয়ে '৩৬ জুলাই: নির্ভীকদের অভিবাদন' শীর্ষক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে দ্য ডেইলি স্টার।

আজ শনিবার বিকেল সোয়া ৩টায় দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম।

এ সময় গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারের সদস্য, আন্দোলনে আহত ও সমন্বয়কসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রদর্শনীর উদ্বোধনী আয়োজনে বক্তব্য রাখছেন দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম। ছবি: স্টার

ছাত্র-জনতার প্রতি বিশেষ সম্মান জানাতেই এই প্রদর্শনীর আয়োজন, যারা এ দেশকে ফ্যাসিবাদের শৃঙ্খল থেকে মুক্তি দিয়েছেন। আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ সব শহীদদের অভিবাদন জানায় ডেইলি স্টার, যারা শোষণের অবসান ঘটাতে প্রাণ দিয়েছেন। যারা দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন, যাদের অঙ্গহানি হয়েছে, বুলেটের আঘাতে আহত হয়েছেন, মানসিক আঘাত পেয়েছেন এবং যারা পরিবারের সদস্য, বন্ধু-বান্ধব ও নিকটজনদের হারিয়েছেন, সবার সঙ্গে ডেইলি স্টার সহমর্মিতা-একাত্মতা প্রকাশ করছে।

ডেইলি স্টার কীভাবে ছাত্র-জনতার এই অভ্যুত্থানের সংবাদ প্রকাশ করেছে, সেসময় আমাদের সম্পাদকীয় নীতি, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন লেখা প্রকাশ পেয়েছে, তা নিয়েই এই প্রদর্শনী। এতে তুলে ধরা হবে, কীভাবে ডেইলি স্টারের সাংবাদিকরা, বিশেষত আলোকচিত্রীরা জীবনঝুঁকি নিয়ে দেশ ও বিশ্বের পাঠকের কাছে শিক্ষার্থী ও স্বাধীনতাকামী মানুষের আত্মত্যাগ, সাহসিকতা ও বীরত্বের গল্পগুলো তুলে ধরেছেন।

প্রদর্শনীর ছবি দেখছেন অতিথিরা। ছবি: স্টার

এই আন্দোলনের সমন্বয়রা বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে যেভাবে আন্দোলনটি পরিচালিত করেছে, সেটা বিস্ময়কর বললেও কম বলা হয়। সবমিলিয়ে ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে '৩৬ জুলাই'। পৃথিবীতে বহু গণঅভ্যুত্থান-বিপ্লব হবে, যার মধ্যে বারবার ফিরে আসবে বাংলাদেশের এই গণঅভ্যুত্থান। ৩৬ জুলাই বারবার ফিরে আসবে। এই ৩৬ জুলাই যারা সফল করেছে, তাদের মনে রাখতে হবে, স্মরণ করতে হবে। সেই মনে রাখা ও স্মরণ করার অংশ হিসেবেই নির্ভীকদের অভিবাদন জানাতে ডেইলি স্টার এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।

আন্দোলন চলাকালে ডেইলি স্টারে প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য দেড় শতাধিক আলোকচিত্র, ভিডিও ও সংবাদের প্রদর্শনী করা হয়েছে এই আয়োজনে।

প্রদর্শনীটি ১ থেকে ৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। পাশাপাশি প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে আন্দোলনের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলবেন সাংবাদিক, শিক্ষক, পোশাকশ্রমিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

Comments

The Daily Star  | English

Sweeping changes in constitution

Expanding the fundamental rights to include food, clothing, shelter, education, internet and vote, the Constitution Reform Commission proposes to replace nationalism, socialism and secularism with equality, human dignity, social justice and pluralism as fundamental principles of state policy.

3h ago