ফলোঅন এড়াতে পেরেছে বাংলাদেশ
উইকেটে সেট হয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি বাংলাদেশের কেউই। এরমধ্যে মেহেদী হাসান মিরাজ যখন বিদায় নেন তখন লেজ বেরিয়ে যায় বাংলাদেশের। তাতে চোখ রাঙাচ্ছিল ফলোঅন। এড়াতে তখনও প্রয়োজন ছিল ৮৫ রানের। তবে জাকের আলীর দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত ফলোঅন এড়াতে পেরেছে টাইগাররা।
রোববার অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ৯ উইকেটে ২৬৯ রান করেছে বাংলাদেশ। প্রথম দুই সেশনে ৮৫ ও ৬০ রানের পর তৃতীয় সেশনে ১০৪ রান করেছে টাইগাররা। প্রথম ইনিংসে এখনও ১৮১ রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।
এদিনের শুরুটা অবশ্য শাহাদাত হোসেন দিপুকে নিয়ে ভালোভাবেই করেছিলেন মুমিনুল হক। এদিন স্কোরবোর্ডে আরও ২৬ রান যোগ করে ৪৫ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। এরপর শাহাদাতের বিদায়ে ভাঙে জুটি। কেমার রোচের অফ স্টাম্পের সামান্য বাইরে রাখা বলে খেলতে গেলে ব্যাটের কানায় গেলে স্লিপে দাঁড়ানো কেভাম হজের তালুবন্দি হয়ে বিদায় নেন এই তরুণ। ৭১ বলে ১৮ রান করেন তিনি।
শাহাদাতের বিদায়ের পর লিটনকে নিয়ে হাল ধরেন মুমিনুল। দারুণ ব্যাটিংয়ে ভালো কিছুর ইঙ্গিতই দিচ্ছিলেন এ দুই ব্যাটার। কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারেননি কেউই। লাঞ্চের পর পঞ্চাশ পূর্ণ করেই মনোযোগ হারান। জেডেন সিলসের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে লাইন মিস করে পড়েন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। রিভিউ নিয়েছিলেন মুমিনুল। তবে লাভ হয়নি। ১১৬ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ৫০ রান করেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। ভাঙে ৬২ রানের জুটি।
এর আগে বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে লাল বলের ক্রিকেটে ১০ হাজার রান পূরণ করেন মুমিনুল। এদিনের ফিফটিতে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে তার মোট রান হলো ১০ হাজার ৫ রান। এই রান করতে ১৫২ ম্যাচে ২৬৭ ইনিংস খেলেছেন তিনি। ৩৯.৭ গড়ে ২৯টি সেঞ্চুরির সঙ্গে হাফসেঞ্চুরি করেছেন ৪৬টি।
এরপর অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে দলের হাল ধরেন লিটন। তবে খুব বেশি দূর আগাতে পারেননি। শামার জোসেফের অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট বল পুল করতে গিয়ে স্টাম্পে টেনে এনে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ৭৬ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ৪০ রান করেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।
লিটনের বিদায়ের পর উইকেটে নামেন জাকের আলী। তবে টিকতে পারেননি অধিনায়ক মিরাজ। স্কোরবোর্ডে ২১ রান যোগ করার পর আলজারি জোসেফের বাউন্সারে আউট হন তিনি। ৬৭ বলে ৩টি চারে ২৩ রান করেন মিরাজ।
আটে নামা তাইজুল চেষ্টা করেছিলেন। জাকের আলীর সঙ্গে ৬৮ রানের কার্যকরী জুটি গড়েন তিনি। মূলত এই জুটিতে ভর করেই ফলোঅন এড়াতে পারে দলটি। এরপর জোসেফের বলে বোল্ড হয়ে যান তাইজুল। এর আগে ৬ বল মোকাবেলা করে ৩টি চারে করেন ২৫ রান।
তবে অপর প্রান্তে ব্যক্তিগত পঞ্চাশ পূরণ করেন জাকের। কিন্তু পঞ্চাশের পর ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তিনিও। জাস্টিন গ্রিভসের বলে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে খেলতে গিয়ে সীমানায় ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন এই ব্যাটার। ৮৯ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ৫৩ রান করেন তিনি।
এরপর গ্রিভসের দ্বিতীয় শিকার হয়ে বিদায় নেন হাসান মাহমুদ। তবে শরিফুল ইসলামকে নিয়ে শেষ দিকে প্রতিরোধ গড়ে দিন শেষ করেছেন তাসকিন আহমেদ। যদিও আলোকসল্পতায় আগেই খেলা শেষ হয়ে যায়। তাসকিন ১১ ও শরিফুল ৫ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৬৯ রানে তিনটি উইকেট নেন জোসেফ। দুটি করে শিকার সিলস ও গ্রিভসের।
Comments