ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আজও রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব, আগারগাঁও, মোহাম্মদপুর ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় আজ রোববারও রাস্তায় নেমেছেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকেই রিকশাচালকরা এইসব এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। পরে তারা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এতে মোহাম্মদপুর তিন রাস্তা এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিস ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। পুলিশকে দেখা গেছে রিকশাচালকদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে।
যাত্রাবাড়ী মোড়ে সীমিত আকারে গাড়ি চললেও বহু সংখ্যক রিকশাচালকের উপস্থিতি দেখা গেছে। পাশেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
আগারগাঁও এলাকার ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের নেতা শফিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তারা আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে জড়ো হয়েছেন। পরে এখান থেকে মিছিল সহকারে মিরপুর ১০ নম্বরের দিকে যাবেন।
দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমাদের একটাই দাবি, চালকদের পুনর্বাসন ব্যতীত ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করা যাবে না। কেননা এটা বহু মানুষের রুটি-রুজির ব্যাপার।'
মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সকাল ১১টা থেকে ব্যাটারি রিকশাচালকরা মিরপুর বেড়িবাঁধ, ঢাকা উদ্যান ও তিন রাস্তার মোড় এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে রেখেছেন। এতে মোহাম্মদপুর, মিরপুর ও গাবতলী সড়কে যানজট দেখা দিয়েছে।'
'তবে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রিকশাচালকদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি', বলেন তিনি।
এর আগে, গত ১৯ নভেম্বর বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুলও জারি করেন আদালত।
হাইকোর্টের আদেশের পরদিন থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করছেন ব্যাটারিচালিত রিকশারচালকরা।
Comments