ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের অবরোধে তীব্র যানজট

রাজধানীর মহাখালী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, গাবতলী ও ডেমরা এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধে তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয় বিক্ষোভকারীরা।

মিরপুর-২-এর বাসিন্দা প্রযুক্তা রায় চৌধুরী বলেন, 'সকালে অফিসে পৌঁছাতে দুই ঘণ্টা লেগেছে, যা সাধারণত ৩০ মিনিটের মতো লাগে। অবরোধের কারণে বেশ কয়েকটি মোড়ে আটকা পড়েছি।

অন্যান্য যাত্রীরাও একই অভিজ্ঞতার কথা জানান। অনেকে যানবাহনে যাওয়ার আশা বাদ দিয়ে রাস্তায় হাঁটতে শুরু করেন।

ঘটনাস্থলে থাকা যাত্রী ও অন্যান্যদের কাছ থেকে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রায় দেড় হাজার থেকে দুই হাজার ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক মহাখালী মোড়ে জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করে।

ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের অবরোধ
রাজধানীর মহাখালীতে যানজট। ছবি: প্রবীর দাশ/ স্টার

পুলিশ তাদের সরে যেতে বললেও তারা অনড় থাকে। এসময় মহাখালী, তেজগাঁও, বনানী, গুলশান ও আশেপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

একই ধরনের চিত্র দেখা যায় মাজার রোড, দারুস সালাম, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া এলাকাতেও। ডিএমপির মিরপুর জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সারজিনা নাসরিন জানান, পরে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিতে দিতে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরের দিকে যায়।

বিক্ষোভকারী ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরাও সকাল ১০টার দিকে মোহাম্মদপুরে তিন রাস্তার মোড় অবরোধ করে, ফলে ওই এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

গত মঙ্গলবার হাইকোর্ট তিন দিনের মধ্যে ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ দিলে আন্দোলনে নামেন রিকশাচালকেরা।

বিচারপতি ফাতেমা নাজিব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ঢাকা সিটি করপোরেশন রিকশা মালিক ঐক্য জোটের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে আদালত নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন না করার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রুল জারি করে এবং স্বরাষ্ট্র সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এবং সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা কার্যকর করার নির্দেশ দেন।

এরপরই গতকাল যাত্রাবাড়ী, দয়াগঞ্জ, মিরপুর, কল্যাণপুরসহ বেশ কয়েকটি সড়ক অবরোধ করে রিকশাচালকরা।

বর্তমানে, ঢাকায় প্রায় ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন রিকশা চলাচল করে, যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ব্যাটারিচালিত।

Comments