খসড়া নীতিমালা

বিচারককে এক কর্মক্ষেত্রে ৩ বছরের বেশি না রাখার সুপারিশ

ইসকন নিয়ে হাইকোর্টের রায়
সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল ফটো

নিম্ন আদালতের বিচারকদের বদলি ও পদায়ন নীতিমালার খসড়া করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এতে একজন বিচারককে এক কর্মক্ষেত্রে সর্বোচ্চ তিন বছর দায়িত্ব পালনের সুপারিশ করা হয়েছে।

তবে প্রধান বিচারপতির কাছে যদি মনে হয় যে, কোনো বিচারক কোনো বিশেষ দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন বা বিচারক বদলি হলে বিচার প্রশাসনে ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনা আছে, সেক্ষেত্রে বিচারককে তিনি একই কর্মস্থলে অর্পিত দায়িত্ব দিতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে আরও সর্বোচ্চ এক বছর সেখানে থাকতে পারবেন বিচারক। 

আজ রোববার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে 'নিম্ন আদালতের বিচারকদের বদলি ও পদায়ন নীতিমালা'র খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, কোনো ব্যতিক্রম ছাড়া নিম্ন আদালতের বিচারকদের দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতে পালাক্রমে বদলি করতে হবে।

কোনো বিচারক শূন্যপদ ছাড়া বদলি হতে পারবেন না। কোনো আদালত বা ট্রাইব্যুনালে কোনো বিচারকের স্ত্রী, পিতা, মা, শ্বশুর, শাশুড়ি, ভাই, বোন, দাদা, মাতামহ আইন পেশায় নিয়োজিত থাকলে সেখানে ওই বিচারককে বদলি করা যাবে না। 

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসে যোগদানের আগে কোনো বিচারক কোনো জেলায় দুই বছর আইনি পেশায় নিয়োজিত থাকেন, তাহলে তার যোগদানের প্রথম ১০ বছরের মধ্যে ওই জেলায় তিনি বিচারক হতে পারবেন না।

পাঁচ পৃষ্ঠার এ খসড়া নীতিমালায় দেখা গেছে, কোনো বিচারক কোনো জেলায় ১০ শতাংশের বেশি কৃষি বা অকৃষি জমির মালিক হন, তাহলে তাকে ওই জেলায় পদায়ন করা যাবে না।

নিম্ন আদালতের বিচারকদের বদলি ও পদায়ন নীতিমালা, ২০২৪ (খসড়া) প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা অনুযায়ী সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রস্তুত করা হয়েছে। নীতিমালার বিষয়ে মতামত লিখিত আকারে আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের অফিসে ইমেইলে বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে দিতে বলা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

The end of exemption?

TRIPS waiver end poses dual challenge: legal and technological

19h ago