মিরপুরে বিক্ষোভরত গার্মেন্টসকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ-সেনাবাহিনীর সংঘাত

রাজধানীর মিরপুর ১৪ ও কচুক্ষেত এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে পোশাক শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ হয় | ছবি: রাশেদ সুমন/স্টার

আজ সকালে বিক্ষোভরত গার্মেন্টসকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সংঘাতে কার্যত রণক্ষেত্রে রূপান্তরিত হয়েছে মিরপুর।

মিরপুর ১৪ ও কচুক্ষেত এলাকার একাধিক কারখানা থেকে হাজারো গার্মেন্টসকর্মী সকাল সাড়ে আটটার দিকে সড়কে অবস্থান নেয়। তারা চাকুরিচ্যুতি ও একটি স্থানীয় পোশাক নির্মাণ কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ জানায়।

ডেইলি স্টারকে কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজি গোলাম মোস্তফা এই তথ্য জানিয়েছেন।

ছবি: রাশেদ সুমন/স্টার

শিগগির বিক্ষোভকারীরা ভাঙচুর শুরু করেন। এ সময় তারা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দুইটি পরিবহনে অগ্নিসংযোগ করেন। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় পুলিশ ও সেনা সদস্যরা তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করার উদ্যোগ নেয়।

এ মুহূর্তে দমকল বাহিনীর দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গাড়ির আগুন নেভানোর কাজে ব্যস্ত রয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই সংঘাত প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

ঘটনাস্থলে বন্দুকের গুলির শব্দ পাওয়া গেছে বলেও তারা জানান। এ ঘটনার পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

সংঘাতের ফলে ওই এলাকায় যানবাহন চলাচল প্রায় দুই ঘণ্টার জন্য বিঘ্নিত হয়।

মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, মিরপুর-১৪ এলাকায় সেনাবাহিনীর পরিবহন মোতায়েন থাকায় সকাল ১১টা পর্যন্ত সেখানে আসা গাড়িগুলোকে আগানোর অনুমতি না দিয়ে ভাষানটেক এলাকার দিকে যেতে বলা হয়। এ সময় শুধু মিরপুর-১০ থেকে মিরপুর-১৪ এলাকার মধ্যে গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়।

সকাল ১১টার পর উল্লেখিত এলাকাগুলোতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। 

হতাহতের বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English
Khaleda Zia calls for unity

Institutionalise democracy, stay united

Urging people to remain united, BNP Chairperson Khaleda Zia has said the country must quickly seize the opportunity to institutionalise the democratic system.

2h ago