তবুও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী সিমন্স, আনলেন ৮০০ রানের প্রসঙ্গ
সিরিজ হার এড়াতে চট্টগ্রাম টেস্টে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের সামনে। কিন্তু প্রথম দিনেই বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরমধ্যেই তিন শতাধিক রান করে ফেলেছে দলটি। তবে তারপরও হতাশ নয় বাংলাদেশ। এমনকি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী কোচ ফিল সিমন্স। উদাহরণ হিসেবে পাকিস্তানের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ৮০০ রান করার বিষয়টি টেনে আনেন এই কোচ।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এদিন টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০৭ রান করেছে প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় দিনে ভালো কিছু করতে না পারলে পুঁজি যে পাঁচশ ছাড়াবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু এ সকল বিষয় নিয়ে না ভেবে নিজেদের কাজে মনোযোগী হওয়ার দিকেই তাগিদ দিচ্ছেন সিমন্স।
মুলতানে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫৫৬ রান করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু তারপরও দলটি হেরেছিল ইনিংস ব্যবধানে। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ৮২৩ রান করে ইংল্যান্ড। আর নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২২০ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের অনুপ্রেরণায় এখন সেই মুলতান টেস্ট।
সেই ম্যাচের প্রসঙ্গ টেনে ম্যাচ শেষে এই কোচ বলেন, 'এই মুহূর্তে দলের কথা হচ্ছে আগামীকাল সকালে আমাদের আসতে হবে এবং তাদের বোলিং করানোর মতো অবস্থানে রাখার জন্য তাড়াতাড়ি উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এরপর আমরা যখন ব্যাটিং করেছি… আমরা টেস্ট ম্যাচে দেখেছি, পাকিস্তানে টেস্ট ম্যাচে, এক দল ৫০০ করেছে, অন্য দল ৮০০ করেছে, সেখানেও ফলাফল হয়েছে।'
'তাই সবসময় দৃষ্টিতে ফলাফল রয়েছে। এবং এই মুহূর্তে আমরা আজ যা ঘটেছে তা নিতে হবে। দেখতে হবে আগামীকাল সকালে আমরা কীভাবে ভিন্নভাবে (বোলিং) করে নিজেদেরকে একটি অবস্থানে রাখার জন্য আরও কিছু উইকেট পেতে পারি কিনা। আপনাকে সবসময় চিন্তা করতে হবে কিভাবে টেস্ট ম্যাচ জিতবেন তারপর অন্য কিছু,' যোগ করেন সিমন্স।
প্রোটিয়াদের বড় পুঁজিতে হতাশও নন এই কোচ, 'আমি হতাশ বলতে পারি না। যতদূর আমরা উদ্বিগ্ন এটা দারুণ একটি ব্যাটিং উইকেট ছিল। আমি মনে করি বোলাররা পরিশ্রম করেছে এবং ভালো বোলিং করেছে। কয়েকটি সুযোগ মিস করেছে। (ধরতে পারলে) ভিন্ন হতে পারতো, চার, পাঁচ (উইকেট) হতে পারতো। কিন্তু আপনি জানেন, এটা কঠিন একটি দিন। আমি যখন এখানে এসেছি তখন মুদ্রার অন্য পাশে কঠিন দিন দেখেছি। তাই, আমি হতাশ বলব না।'
Comments