টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে ৬ হাজারি ক্লাবে মুশফিক

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ডেন পিটের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি রিভার্স সুইপ করলেন মুশফিকুর রহিম। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে বল চলে গেল সীমানার বাইরে। তাতে পূর্ণ হয়ে গেল অভিজ্ঞ ডানহাতি ব্যাটারের টেস্ট ক্যারিয়ারের ৬ হাজার রান। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি।

মঙ্গলবার মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ইতিহাস গড়েছেন ৩৭ বছর বয়সী মুশফিক। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে ক্রিজে গিয়ে শুরু থেকেই ইতিবাচক ব্যাটিং করছেন তিনি। শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দিন শেষে অপরাজিত আছেন ২৬ বলে ৩ চারে ৩১ রানে।

৬ হাজারি ক্লাবে ঢুকতে মুশফিকের লাগল ৯৩ টেস্টের ১৭২ ইনিংস। এই সংস্করণে তার অভিষেক হয়েছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০০৫ সালের মে মাসে লর্ডসে। ১৯ বছরের বেশি সময় ধরে সাদা পোশাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে যাচ্ছেন তিনি। বাংলাদেশের জার্সিতে টেস্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১টি সেঞ্চুরি আছে তার। পাশাপাশি ফিফটি করেছেন ২৭টি।

এই ম্যাচের আগে মুশফিকের রান ছিল ৫৯৬১। প্রথম ইনিংসে ১১ রানে তিনি আউট হয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার জাগিসো রাবাদার বলে বোল্ড হয়ে। অর্থাৎ দ্বিতীয় ইনিংসে নামার আগে ৬ হাজার রানের মাইলফলক থেকে ২৮ রান দূরে ছিলেন তিনি। প্রোটিয়া অফ স্পিনার পিটকে ওই চারটি মেরে তিনি পৌঁছে যান ব্যক্তিগত ২৯ রানে। তিনি দিন শেষ করেছেন ৩৮.৪৮ গড়ে ৬০০৩ রান নিয়ে।

টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় শীর্ষে থাকা মুশফিকের পরের স্থানে আছেন তামিম ইকবাল। ২০২৩ সালে শেষবার ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদার সংস্করণে খেলা বাঁহাতি ওপেনারের রান ৭০ টেস্টের ১৩৪ ইনিংসে ৫১৩৪ রান। দেশে ফিরতে না পারায় মিরপুর টেস্টে অনুপস্থিত সাকিব আল হাসান আছেন তিন নম্বরে। ৭১ টেস্টের ১৩০ ইনিংসে তার সংগ্রহ ৪৬০৯ রান।

আলোকস্বল্পতায় সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হয়েছে আগেভাগে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ১০১ রান তুলেছে বাংলাদেশ। পাঁচে নামা মুশফিকের সঙ্গী হিসেবে ক্রিজে আছেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। একপ্রান্ত আগলে ব্যাট করছেন ৮০ বলে ৩৮ রানে।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ মাত্র ১০৬ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর জবাব দিতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা তোলে ৩০৮ রান। কাইল ভেরেইনার সেঞ্চুরিতে তারা নেয় ২০২ রানের বড় লিড। তা ১০১ রানে নামিয়ে এনেছে টাইগাররা। তবে ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কা এখনও রয়ে গেছে তাদের।

Comments