যুক্তরাষ্ট্রে শিখ নেতা পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রে ‘র’ কর্মকর্তা জড়িত

গুরপতবন্ত সিং পান্নুন

২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যা ষড়যন্ত্রের দায়ে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা 'র'-এর সাবেক কর্মকর্তা বিকাশ যাদবকে অভিযুক্ত করেছে মার্কিন সরকার।

গত বৃহস্পতিবার ১৭ অক্টোবর নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি অফিস থেকে দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়, 'ভাড়াটে হত্যাকারী' ও 'অর্থ পাচারকারী' হিসেবে যাদবকে নথিভুক্ত করা হয়েছে।

খবর বিবিসি ও হিন্দুস্তান টাইমসের।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) যাদবকে তাদের 'ওয়ান্টেড' পলাতক আসামিদের তালিকায় রেখেছে।

শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এফবিআই পরিচালক ক্রিশ্চোফার রে যাদবকে 'ভারতীয় সরকারী কর্মকর্তা' হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, 'নিউইয়র্কের মাটিতে একজন মার্কিন নাগরিককে হত্যা ষড়যন্ত্রের দায়ে' তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

এবছর একই মামলায় আরেক ভারতীয় নাগরিক নিখিল গুপ্তকে চেক প্রজাতন্ত্রের একটি কারাগার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমেই যাদবের নাম পেয়েছে মার্কিন প্রশাসন।

তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, যাদব এখন আর ভারত সরকারের হয়ে কাজ করছে না। যাদবকে নিয়ে চলমান তদন্তে ভারত সরকার এফবিআইকে সাহায্য করছে বলেও জানানো হয়।

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতবছর নভেম্বরে চাঁদাবাজির অভিযোগে যাদবকে গ্রেপ্তার করেছিল দিল্লি পুলিশ। গত এপ্রিলে জামিনে মুক্তি পান তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, যাদব এখন ভারতেই আছেন।

মার্কিন বিচার বিভাগের অভিযোগে বলা হয়, পান্নুন হত্যা ষড়যন্ত্রের 'মাস্টারমাইন্ড' যাদব। মূল পরিকল্পনা সাজানোর জন্য ভারতে বসেই নিখিল গুপ্তকে নিয়োগ দিয়েছিলেন তিনি। তার নির্দেশে পান্নুনকে হত্যার জন্য একজন ভাড়াটে খুনির দ্বারস্থ হন গুপ্ত। কিন্তু সেই 'ভাড়াটে খুনি' ছিলেন মার্কিন মাদক নিয়ন্ত্রণ প্রশাসনের (ডিইএ) একজন এজেন্ট। যে কারণে ভেস্তে গিয়েছিল এই পরিকল্পনা।

পান্নুন শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী 'খালিস্তান' আন্দোলনের একজন নেতা। ভারতীয় সরকার তাকে 'জঙ্গি' হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকে।

খালিস্তান আন্দোলনের আরেক নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার গতবছর জুনে কানাডার একটি শিখ মন্দিরের সামনে খুন হন। এই হত্যার পিছনে ভারতীর সরকার জড়িত ছিল অভিযোগ করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

তবে দিল্লি এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে, উল্টো ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ 'খালিস্তানি জঙ্গি ও চরমপন্থিদের' আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ এনেছে কানাডার বিরুদ্ধে।

এই ইস্যুতে বর্তমানে কানাডা ও ভারতের মধ্যে শীতল সম্পর্ক বিরাজ করছে।

Comments

The Daily Star  | English

Crane brought to Dhanmondi-32 after vandalism

Protesters stormed and vandalised the Dhanmondi-32 residence of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman tonight following social media announcements of a "Bulldozer Procession"

3h ago