নারায়ণগঞ্জে আজমেরী ওসমানের ক্যাডার ‘পাগলা হামিদ’ গ্রেপ্তার

তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন পাগলা হামিদ। তিনি আজমেরী ওসমানের ক্যাডার বাহিনীর অন্যতম সদস্য।
যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার আব্দুল হামিদ ওরফে পাগলা হামিদ। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জে আজমেরী ওসমানের ক্যাডার আব্দুল হামিদ ওরফে পাগলা হামিদকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। মঙ্গলবার রাতে ফতুল্লার শাসনগাঁও এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম বলেন, 'হামিদ আমাদের টার্গেটে ছিল। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সশস্ত্র হামলার অভিযোগে মামলা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।'

তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন পাগলা হামিদ। তিনি আজমেরী ওসমানের ক্যাডার বাহিনীর অন্যতম সদস্য। শহরে আজমেরী ওসমানের মহড়ায় সবসময় তার গাড়িতে দেখা যেত তাকে।

আজমেরী জাতীয় পার্টির প্রয়াত সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের ছেলে এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ভাতিজা৷

আজমেরী ওসমানের গাড়িতে পাগলা হামিদ। ছবি: সংগৃহীত

আজমেরী ওসমানের সহযোগিতায় ফতুল্লার শাসনগাঁও এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব ছিল হামিদের। বিসিক শিল্পাঞ্চলে চাঁদাবাজি ও ঝুট সন্ত্রাসের বড় নিয়ন্ত্রণ ছিল তার হাতে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাগলা হামিদ এক সময় শামীম ওসমানের সহচর ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফউল্লাহ বাদলের গাড়িচালক ছিলেন। পরে আজমেরী ওসমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে তার। হত্যা, মাদক ব্যবসা, জমি দখলসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আজমেরী ওসমান গা ঢাকা দিলেও অনেক সহযোগী নারায়ণগঞ্জে রয়ে যান। তাদের মধ্যে হামিদ একজন। তিনি স্থানীয় কয়েকজন বিএনপির নেতার সঙ্গে যোগসাজশে এলাকায় টিকে ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

হামিদের গ্রেপ্তার হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে সেনাবাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার হন তার সহযোগী আনিস।

 

Comments