আমিরাতে দুর্গাপূজা: সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রবাসীদের মাঝে উৎসবের আমেজ

আরব আমিরাতে দুর্গাপূজা। ছবি: সংগৃহীত

বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজাকে ঘিরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রবাসীদের মাঝে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। ঢাকের তালে শঙ্খের উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে পূজা মণ্ডপগুলো। 

পুরোহিতদের মন্ত্রপাঠ, ধর্মীয় আরাধনা, উলুধ্বনি সহকারে শিশু-কিশোর ও তরুণ-তরুণীদের নৃত্য সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রবাসীদের উৎসবের আমেজকে আরও স্বতঃস্ফূর্ত করে তুলেছে। 

মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির সাতটি প্রদেশে এবার প্রায় ১০টি স্থানে দুর্গাপূজা উদযাপন করছেন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের প্রবাসীরা। 

আজমান প্রদেশে পূজার আয়োজন করেছে প্রবাসী সনাতনী ঐক্য পরিষদ। দেবী দুর্গার দর্শন পেতে সন্ধ্যার পর থেকে প্রদেশটির সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রবাসীদের পদচারণায় মুখরিত পূজা প্রাঙ্গণ। মণ্ডপে দুর্গার আরাধনায় ভক্ত, পূজারীদের ন্যায় দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় দুর্গোৎসবে ভিন্নতা নিয়ে এসেছে।

পূজা আয়োজন প্রসঙ্গে প্রবাসী সনাতনী ঐক্য পরিষদের সভাপতি অজিত কুমার রায় বলেন, 'প্রতিবারের মতো কলকাতা থেকে প্রতিমা আনা হয়েছে। আমিরাতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে প্রতিদিন কয়েক হাজার প্রবাসী দর্শনার্থী ভিড় করছেন মণ্ডপে। প্রতিদিন উপস্থিতির সংখ্যা বাড়ছে।'

এই আয়োজনকে ঘিরে প্রতিদিন দশ হাজার মানুষের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এ বছর আমিরাতে দুই মাস আগে থেকেই পূজার প্রস্তুতি শুরু হয়। দেশটিতে অবস্থানরত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয় কর্মপরিকল্পনা। যে কারণে উৎসবের আমেজ আমিরাতের সনাতন ধর্মাবলম্বী সব প্রবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে বলে জানান প্রবাসী সনাতনী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সরকার ও প্রেস সম্পাদক স্নিগ্ধা সরকার তিথি।

দুর্গোৎসবে আসা প্রবাসী সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বলেন, এ বছর দেবী দুর্গা এসেছেন দোলায় এবং বিদায় নেবেন ঘোড়ায় চড়ে। বিজয়া দশমীর প্রথমভাগে দেবী দুর্গার বিদায়কে সামনে রেখে তারা ভক্তি, শ্রদ্ধা ও আরতি-অঞ্জলি প্রদান করবেন। 

দর্শনার্থীদের জন্য অস্থায়ী পূজামণ্ডপের প্রসাদ ছাড়াও মণ্ডপের পাশেই বসানো হয়েছে অস্থায়ী কিছু স্টল। স্টলগুলোতে শোভা পেয়েছে দেশীয় খাবারের পাশাপাশি হরেক রকমের মিষ্টান্নের। 

আগামীকাল বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এই দুর্গোৎসবের।

লেখক: আমিরাতপ্রবাসী সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

Polythene ban: A litmus test for will and eco-innovation

Although Bangladesh became the first country in the world to announce a complete ban on the use of polythene bags in 2002, strict enforcement of the much-lauded initiative has only started taking shape recently.

16h ago