পাকিস্তানে বন্দুক হামলায় ২০ খনি শ্রমিক নিহত

গোলযোগপূর্ণ বেলুচিস্তান প্রদেশে এটি সর্বশেষ হামলার ঘটনা। রাজধানীতে আয়োজিত একটি বড় নিরাপত্তা শীর্ষ সম্মেলনের কয়েকদিন আগে ভয়াবহ হামলার ঘটনাটি ঘটল।
বেলুচিস্তানের কয়লা খনিতে বন্দুক হামলায় নিহত ও আহতদের আত্মীয়-পরিজন হাসপাতালে ভিড় জমান। ছবি: ডন
বেলুচিস্তানের কয়লা খনিতে বন্দুক হামলায় নিহত ও আহতদের আত্মীয়-পরিজন হাসপাতালে ভিড় জমান। ছবি: ডন

পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বন্দুকধারীদের হামলায় ২০ জন খনি শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত আরও ৭ জন।

আজ শুক্রবার দেশটির পুলিশ এসব হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

গোলযোগপূর্ণ বেলুচিস্তান প্রদেশে এটি সর্বশেষ হামলার ঘটনা। রাজধানীতে আয়োজিত একটি বড় নিরাপত্তা শীর্ষ সম্মেলনের কয়েকদিন আগে ভয়াবহ হামলার ঘটনাটি ঘটল।

পুলিশ কর্মকর্তা হুমায়ুন খান নাসির বলেন, 'বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বন্দুকধারীরা দুকি জেলার কয়লা খনির আবাসনে ঢুকে পড়ে। পরে তাদের ঘিরে ফেলে এবং গুলি চালায়।'

নিহতদের অধিকাংশই বেলুচিস্তানের পশতুনভাষী এলাকার। এছাড়া নিহতদের তিন জন ও আহতদের মধ্যে চার জন আফগান নাগরিক।

তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।

প্রদেশটি পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে বিবেচিত। এই বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীদের অনেকেই স্বাধীনতা চায়। তাদের অভিযোগ, ইসলামাবাদের কেন্দ্রীয় সরকার স্থানীয়দের ক্ষতিগ্রস্ত করে তেল ও খনিজ সমৃদ্ধ বেলুচিস্তানকে অন্যায়ভাবে শোষণ করছে।

সোমবার বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) নামে একটি গোষ্ঠী জানায়, তারা পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দরের বাইরে চীনা নাগরিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। দেশটিতে হাজারো চীনা নাগরিক কাজ করছেন, যাদের বেশিরভাগই বেইজিংয়ের মাল্টিবিলিয়ন ডলারের প্রকল্প বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের সঙ্গে জড়িত।

বিএলএ বলেছে, এই বিস্ফোরণটি আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী ঘটিয়েছে। যার ফলে উচ্চ পদস্থব্যক্তিদের নিয়ে অনুষ্ঠান বা দেশি বিদেশিদের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

আগামী সপ্তাহে পশ্চিমা জোটকে মোকাবিলায় চীন ও রাশিয়ার প্রতিষ্ঠিত জোট সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করছে ইসলামাবাদ।

Comments