সাকিব দেশের মাটিতে খেলতে পারলে স্বস্তি লাগবে শান্তদের

Najmul Hossain Shanto & Shakib Al Hasan
ছবি: একুশ তাপাদার

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ খেলে এই সংস্করণকে বিদায় জানাতে চান সাকিব আল হাসান। তার পরিকল্পনায় ব্যক্তিগতভাবে কোনো আপত্তি নেই যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার। বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের জন্যও এটি স্বস্তির খবর, বললেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

দেশের ইতিহাসের সেরা ক্রিকেটার সাকিব বাংলাদেশের মাটিতে টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন, চাওয়া বাকি খেলোয়াড়দের। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার বক্তব্য টেনে গোয়ালিয়রে সংবাদ সম্মেলনে করা এক প্রশ্নে শান্ত বলেন, 'সাকিব ভাইয়ের ব্যাপারে যেটা বললেন, উনি যদি দেশের মাটিতে গিয়ে খেলতে পারেন, এটা আমাদের প্রত্যেক ক্রিকেটারের জন্য একটা স্বস্তির ব্যাপার হবে।'

বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ইতোমধ্যে খেলে ফেলেছেন সাকিব। ৩৭ বছর বয়সী বাঁহাতি তারকা অলরাউন্ডার ওয়ানডে খেলতে চান আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত। আর চলতি মাসের শেষদিকে শুরু হতে যাওয়া প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজ দিয়ে তিনি অবসরে যাবেন টেস্ট থেকে। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত নির্বাচনে সংসদ সদস্য হওয়া সাকিব একটি হত্যা মামলাতে আসামী হওয়ায় তার পরিকল্পনা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। যদিও যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফের সবশেষ কথার প্রেক্ষিতে আশার আলো দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।

ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ আগামী রোববার শুরু হবে গোয়ালিয়রে। সাকিব না থাকায় একাদশ সাজাতে ভাবতে হচ্ছে টাইগারদের। কারণ, ব্যাটিং ও বোলিং— দুই বিভাগেই বিশেষজ্ঞ তিনি। এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ দলনেতার সরল স্বীকারোক্তি, 'সাকিব ভাইয়ের ব্যাপারটা হলো... উনি এতদিন ছিলেন। এখন ১১ জন সাজাতে একটু সমস্যা হবেই। কারণ, উনি দুই দিক থেকে ভালো।'

সাকিব অবসরে যাওয়ায় অনুমিতভাবেই টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। তাকে নিয়ে আশাবাদী শান্ত, 'আমরা মিরাজকে দলে নিয়ে এসেছি। আমরা আশা করব যে, মিরাজ ওই জায়গাটায় চেষ্টা করবে দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার জন্য। সাকিব ভাই নাই, এটা আমাদের জন্য নতুন ব্যাপার। বিশেষ করে এই সংস্করণে। এখন মিরাজ আছে। আশা করব যে, মিরাজ আমাদেরকে ভালো একটা শুরু দেবে।'

গোয়ালিয়রের মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। ১৪ বছর পর জেলাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তন ঘটতে যাচ্ছে। এই ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু হবে ৩০ হাজার ধারণক্ষমতা বিশিষ্ট স্টেডিয়ামটির। পরের দুটি ম্যাচ হবে ৯ অক্টোবর দিল্লি ও ১২ অক্টোবর হায়দরাবাদে।

Comments

The Daily Star  | English

Managing expectations the challenge for EC

The EC was a rubber stamp to legalise AL's usurpation of power in last three elections

4h ago