স্বাস্থ্যখাত সংস্কারে অগ্রাধিকারে থাকুক ৮ বিষয়

সংস্কারের খাতায় স্বাস্থ্যখাত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
স্বাস্থ্যখাত
ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টের ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। অনেক রকম বাধা-বিপত্তি, ষড়যন্ত্রকে সামনে ঠেলে সরকার দেশের বিভিন্ন খাতের মৌলিক সংস্কার করার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সংস্কারের খাতায় স্বাস্থ্যখাত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অতি সম্প্রতি স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে বিভিন্ন নীতি বিষয়ে সহায়তার জন্য একটি উপদেষ্টা পরিষদও গঠন করা হয়েছে। স্বল্প সময়ে অতি দ্রুত স্বাস্থ্যখাতের কিছু আশু সংস্কার করা আবশ্যক, যা স্থবির হয়ে থাকা এই খাতটিতে দৃশ্যমান পরিবর্তন আনতে সক্ষম। তা করতে গেলে সরকারের দ্রুততম সময়ে কঠিন কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন হবে।

১.

দেশে বর্তমানে মোট ১১১টি (সরকারি=৩৭, বেসরকারি=৬৮, আর্মড ফোর্সেস =৬) মেডিকেল কলেজ চালু আছে। বিগত সময়ে অনেক সরকারি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক বিবেচনায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনতিবিলম্বে উক্ত মেডিকেল কলেজগুলোর একটি সমন্বিত অডিট করার লক্ষ্যে  উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা উচিত। এই কমিটি সরেজমিনে যাচাইবাছাই করে তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় মেডিকেল কলেজগুলো বন্ধ করে দেওয়ার ব্যাপারে সুপারিশ করবে। এমন অনেক জেলায় সরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে যেখানে এখনো পর্যন্ত স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি অথবা স্বল্প পরিসরে শুরু হয়েছে। এই কলেজগুলো বন্ধ করে দিয়ে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের নিকটবর্তী যেকোনো মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করে দিলে সরকার আর্থিকভাবে লাভবান হবে এবং শিক্ষক সংকট ও কিছুটা কমে আসবে।

তিন থেকে ছয় মাস সময় নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষা উপকরণহীন, ভবনকেন্দ্রিক যেসব বেসরকারি মেডিকেল কলেজ চালু আছে সেগুলো নোটিশ দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে। এতে করে অন্তত মানহীন চিকিৎসক তৈরির হাত থেকে দেশ ও জাতি রক্ষা পাবে। কঠোর হাতে এই কমিটিকে লোভ ও চাপের ঊর্ধ্বে উঠে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।

২.

স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে দৃশ্যমান উন্নতি আনয়ন করতে হলে উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার গুণগত মান উন্নয়ন করতে হবে, যাতে করে ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে রোগীদের আসতে না হয়। এই লক্ষ্যে একটি কার্যকর ব্যবস্থা হতে পারে ইন্টার্নি চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের সময়কাল এক বছরের জায়গায় ২ বছরে উন্নীত করা। থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া, ইরান, অস্ট্রেলিয়া, ভারতের কোনো কোনো রাজ্যসহ অনেক দেশে ইন্টার্নশিপ ২ বছর চালু রয়েছে। সদ্য পাশ করা একজন চিকিৎসক ইন্টার্নির প্রথম বছর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রশিক্ষণ নেবেন এবং পরবর্তী বছর বাধ্যতামূলকভাবে একটি উপজেলা হাসপাতালে  প্রশিক্ষণ ও চিকিৎসা দেবেন। ২ বছর সফলভাবে ইন্টার্নশিপ শেষ করার পর তিনি বিএমডিসি কর্তৃক স্বীকৃত হবেন। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের উপজেলা ভিত্তিক বিন্যাস কেমন হবে, বেতন কাঠামো কেমন হবে, দুর্গম এলাকায় সেবা প্রদানের জন্য কী বাড়তি সুবিধা পাবেন সরকার তা সবারপরামর্শে ঠিক করে দিতে পারে। উদ্যমী, কর্মক্ষম এবং তরুণ এই চিকিৎসকদের উপস্থিতি উপজেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবার চিত্র পাল্টে দিতে পারে।

৩.

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রশাসন ও পুলিশ ক্যাডারে ব্যাপক পদোন্নতি লক্ষ্য করা গেছে। অথচ স্বাস্থ্যখাতের চিকিৎসকরা বছরের পর বছর পদোন্নতি বঞ্চিত। এই মুহূর্তে শুধু মেডিসিন বিভাগে ৫২ জন অধ্যাপকের পদ, ২২ জন সহযোগী অধ্যাপকের পদ (প্রকারান্তরে ২২+৫২=৭৪ জন) , ৫২টি সহকারী অধ্যাপকের পদ (প্রকারান্তরে ৭৪+৫২=১২৬ জন) এবং শতাধিক জুনিয়র ও সিনিয়র কনসালটেন্ট পদ খালি আছে। একই অবস্থা সার্জারি, গাইনি ও শিশু বিভাগেও বিদ্যমান। বছরের পর বছর আমলাতান্ত্রিক জটিলতায়,  বিভিন্ন আইনের মারপ্যাঁচে এবং আর্থিক লেনদেনদের জন্য (শোনা যায় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের জন্য এই শুন্য পদগুলো লটারির টিকিট) এই পদোন্নতি আটকে রাখা হয়েছে। এই মুহূর্তে পোস্ট গ্রাজুয়েট (এফসিপিএস, এমডি ) ডিগ্রিধারী  মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি ও শিশু বিভাগে শত শত চিকিৎসক পদোন্নতি ও পদায়নের অভাবে দিনানিপাত করছেন।

প্রত্যেকটি উপজেলা হাসপাতালে মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি,  শিশু এবং অ্যানেস্থেসিয়া এই ৫টি বিভাগে জুনিয়র কনসালটেন্টের পদ বিদ্যমান। এই পদগুলোতে অনতিবিলম্বে পদোন্নতি ও পদায়নের মাধ্যমে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পারলে উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবার চিত্র রাতারাতি বদলে যাবে। এরসঙ্গে মেডিকেল কলেজগুলোতে সহকারী অধ্যাপক ও তদুর্ধ্ব পদগুলোতে পদোন্নতি ও পদায়ন অনতিবিলম্বে নিশ্চিত করতে পারলে মেডিকেল কলেজগুলোর স্বাস্থ্যশিক্ষা ও সেবার মানও পাল্টে যাবে। আগামী ৩ মাসের মধ্যে অতীব জরুরি এই কাজটি করে ফেলা আবশ্যক। এফসিপিএস, এমডি ডিগ্রি সম্পন্ন করা বিপুল সংখ্যক এই চিকিৎসকদের পদের অভাবে পদোন্নতি না দেওয়া ও কাজে না লাগানো স্বাস্থ্যখাতের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। প্রয়োজনে সুপারনিউমারি পদে পদোন্নতির মাধ্যমে তাদের উপজেলা, জেলা ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে পদায়ন করতে হবে। এ ব্যাপারটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান আমলাতন্ত্রকেও অনুধাবন করতে হবে।

৪.

অনতিবিলম্বে উপজেলা, জেলা ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে কী ধরনের যন্ত্রপাতি রয়েছে এবং কত যন্ত্রপাতি বাক্সবন্দী অবস্থায় পড়ে রয়েছে তার অডিট হওয়া প্রয়োজন। স্বাস্থ্যখাতে যন্ত্রপাতি কেনাকাটা দুর্নীতির একটি বড় ক্ষেত্র এবং বিগত বছরগুলোতে অপ্রয়োজনে কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে। অতি জরুরি না হলে নতুন করে আর যন্ত্রপাতি না কিনে ইতোমধ্যে কেনা যন্ত্রপাতিগুলোর সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা উচিত। মামলার মারপ্যাঁচে বিগত কয়েক বছর যাবত কোনো মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এবং ল্যাব টেকনিশিয়ান নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি।

অনতিবিলম্বে আইন মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে মামলা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের মাধ্যমে উপজেলা ও জেলা হাসপাতালগুলোতে  মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এবং ল্যাব টেকনিশিয়ানদের নিয়োগ দেওয়া উচিত। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং জেলা হাসপাতালের এক্সরে, ইসিজি, আলট্রাসোনোগ্রাফি এবং বেসিক হেমাটোলজি , বায়োকেমেস্ট্রি , টেস্ট সেবা চালু করে দিতে পারলে উপজেলা, জেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য সেবার দৃশ্যমান পরিবর্তন চলে আসবে। পদায়ন ও সেবার মূল্য নির্ধারণের (ইউজার ফি) ক্ষেত্রে কোনো আইনি জটিলতা থাকলে মন্ত্রণালয়ের তা অনতিবিলম্বে উদ্যোগী হয়ে নিরসন করতে হবে।

৫.

আগামী ৩ মাসের মধ্যে বাংলাদেশের এমবিবিএস ডিগ্রি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এবং এর স্বীকৃতি হারাতে পারে। বোঝাই যাচ্ছে, বাংলাদেশের চিকিৎসা শিক্ষার ক্ষেত্রে এক ভয়াবহ দুর্যোগ নেমে আসছে। এই দুর্যোগ মোকাবিলায় নাম সর্বস্ব একটি কমিটি বিগত সরকার গঠন করেছিল, যার কোন দৃশ্যমান কার্যাবলী চোখে পরে না। এরকম একটি অতি জরুরি বিষয়ের গুরুত্ব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও অনুধাবন করতে পারেনি। অনতিবিলম্বে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে এ ব্যাপারে জরুরি সিদ্ধান্ত নিতে হবে। চিকিৎসা শিক্ষার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এবং যারা সত্যিকারের সময় দিতে পারবেন এমন ব্যক্তিদের নিয়ে অতি জরুরিভাবে কমিটি পুনর্গঠন প্রয়োজন এবং সরকারকে এই কমিটিকে আন্তরিকতার সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে। নতুবা বাংলাদেশের চিকিৎসা শিক্ষা ২০২৫ সালে একটি গ্লানিময় ইতিহাসে প্রবেশ করবে এবং এর দায় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও এড়াতে পারে না।   

 ৬.

গবেষণার উপাত্ত বলছে বাংলাদেশের মানুষকে চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তির লক্ষ্যে ৬৪% নিজের পকেট থেকে খরচ করতে হয়। খরচের একটি বড় অংশ চলে যায় বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পেছনে। একই পরীক্ষার মূল্য সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে তিন থেকে পাঁচ গুণ পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে বেড/কেবিন ভাড়া, ডায়াগনস্টিক টেস্টের মূল্য এবং ওষুধের মূল্যসহ অন্যান্য অনেক নাম না জানা খাতের পেছনে রাখ লাখ টাকা ব্যয় করতে হয়।

একটি সার্জারির প্রয়োজন হলে হাসপাতাল ও সার্জনভেদে কীভাবে সার্জারির ফি নির্ধারণ করা হয়, তা কেউ বলতে পারে না। বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, ভোক্তা অধিকার কমিশন, বেসরকারি ল্যাব ডায়াগনস্টিক হাসপাতাল মালিক সমিতি ,ঔষধ মালিক সমিতিসহ সবার সঙ্গে বসে আগামী ছয় মাসের মধ্যে ডায়াগনস্টিক টেস্ট, সার্জারি ফি, ওটিফিসহ সকল মূল্য যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করে দিতে হবে। এ ব্যাপারে আইন প্রণয়ন ও সংস্কারের প্রয়োজন হলে তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করতে হবে। ব্যয়ের এ বিশাল অসামঞ্জস্যের পেছনে কী কারণ তা বের করতে হবে এবং দুর্নীতির সংশ্লেষ থাকলে আইন ও শাস্তির মাধ্যমে তার মূল উৎপাটন করতে হবে।

 ৭.

বিএমডিসি , বিএমআরসি, বিএনএমসির মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন সঠিক নেতৃত্বের অভাবে অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যর্থতার কারণ ও সাফল্যের ধারায় ফেরানোর উপায়গুলো পৃথক আলোচনার দাবি রাখে। তবে অনতিবিলম্বে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর নেতৃত্বসহ কমিটিগুলোর পরিবর্তন প্রয়োজন এবং কোটারি স্বার্থের বাইরে গিয়ে এই প্রতিষ্ঠানগুলো চালানোর মতো অভিজ্ঞতাসম্পন্ন  ব্যক্তিদের নেতৃত্বে নিয়ে আসা প্রয়োজন। বিএমডিসির মতো রেগুলেটরি বডি অথবা বিএমআরসি মতো গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে উপযুক্ত নেতৃত্ব দিতে পারলে স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য গবেষণায় প্রভূত পরিবর্তন দৃষ্টিগোচর হবে।

৮.

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য কর্মীরা অত্যন্ত ও অনিরাপদ ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে সেবা প্রদান করেন। এই প্রবন্ধটি যখন লিখছি, তখন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে একজন চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নির্মম নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন। একটি স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন তৈরি হয়ে রয়েছে বলে দীর্ঘদিন থেকে আমরা শুনে এসেছি। স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষা ও পূর্ণ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণে স্বাস্থ্য পুলিশিং ব্যবস্থাসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন অবিলম্বে জারি করতে হবে।

এতে করে মাঠ পর্যায় থেকে শুরু করে টারশিয়ারি হাসপাতালসহ সব জায়গায় কর্মরত চিকিৎসকসহ সব স্বাস্থ্যকর্মীর কাজের প্রতি স্পৃহা ও মনোবল ফিরে আসবে, যা জনগণের মধ্যে আস্থার পরিবেশ তৈরি করবে এবং অন্তবর্তী সরকারের ভাবমূর্তি আরও বাড়িয়ে তুলবে।

পরিশেষে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যনীতি ও ঔষধনীতির মত মৌলিক দলিলগুলোকে কীভাবে আরও জনবান্ধব, সেবা গ্রহীতা এবং সেবা দাতাবান্ধব করে তোলা যায় তার প্রতি উপদেষ্টা পরিষদকে সুনির্দিষ্ট সময়ে বেঁধে নিয়ে কাজ করতে হবে, যাতে করে বিশ্বের বুকে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও গবেষণায় বাংলাদেশ একটি উদাহরণ সৃষ্টিকারী রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে। এখানে অতি দ্রুত সময়ে স্বল্প মেয়াদে কী সংস্কার করা যেতে পারে তা আলোচিত হয়েছে। মধ্য মেয়াদ ও দীর্ঘ মেয়াদে স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে, যা পৃথক আলোচনার দাবি রাখে।

প্রধান উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরগুলো ছাত্র-জনতার ত্যাগ স্বীকারকে স্মরণে রেখে সুবিবেচনা প্রসূত তড়িৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বলে আশা রাখি। এ ব্যাপারে আমাদের আপামর জনসাধারণের সাহস ও সহযোগিতা তাদের সঙ্গে থাকবে বলে বিশ্বাস করি।   

লেখক

ডা. ফজলে রাব্বী চৌধুরী

পিএইচডি, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাজ্য

চিকিৎসক, গবেষক, প্রাবন্ধিক

সহযোগী অধ্যাপক

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

Comments