কোথাও সরকারিভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়নি: আইসিটি উপদেষ্টা

বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনের পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, 'পার্বত্য চট্টগ্রামে কোথাও সরকারিভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়নি।'

তিনি বলেন, 'সেখানে বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি জায়গায় সমস্যা হয়েছিল। সাময়িকভাবে কিছু জায়গায় ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। কিন্তু সেটিকে অতিরঞ্জিত করে বলা হচ্ছে যে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।'

'এরকম কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি এবং এমন কোনো ঘটনাও ঘটেনি। পার্বত্য চট্টগ্রাম বা কোনো এলাকায় দীর্ঘ সময় ইন্টারনেট বন্ধ ছিল, এমন প্রমাণও কেউ দেখাতে পারবে না,' যোগ করেন তিনি।

আজ শনিবার ফেনীর ছাগলনাইয়ায় বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ বলেন, 'ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়টি সত্য নয়। এ বিষয়ে সেখানকার জেলা প্রশাসকসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গেও আমি কথা বলেছি। এ ধরনের অভিযোগের ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সম্পূর্ণ সত্যতা জেনে নেওয়ার অনুরোধ রইল।'

তিনি বলেন, 'পার্বত্য চট্টগ্রামে আমাদের দীর্ঘদিনের একটি সমস্যা রয়েছে। অভ্যন্তরীণ সমস্যা অভ্যন্তরীণভাবেই সমাধান করতে হবে। এ ব্যাপারে আজকে কয়েকজন উপদেষ্টা সেখানে গেছেন। অভ্যন্তরীণভাবে আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।'

দেশ সংকটকালীন মুহূর্তের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশকে অশান্ত করার পরিকল্পনা অনেকেরই রয়েছে। নানাভাবে পরিস্থিতিকে সংকটপূর্ণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।'

বন্যা পরবর্তী সময়ে পুনর্বাসন কার্যক্রমের বিষয়ে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, 'এখানে যেহেতু প্রতি বছর বন্যা হয়, সেজন্য স্থায়ী একটি সমাধান প্রয়োজন। ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে বাঁধগুলো কীভাবে সংস্কার করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা চলছে। এখন আমরা পুনর্বাসন কার্যক্রমে জোর দিচ্ছি। প্রাথমিকভাবে গৃহনির্মাণে সবার চাহিদা রয়েছে। পাশাপাশি যাদের শিক্ষা সামগ্রী নষ্ট হয়ে গেছে তা দ্রুত সরবরাহ করতে হবে।'

'ভারতের এভাবে বাঁধ খুলে দেওয়া উচিত হয়নি' উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'তারা বিষয়টি স্বীকার করেনি। এ বিষয়ে যৌথ নদী কমিশন ও কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে। আগামীতে যেন এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে সেজন্য ভারতের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।'

Comments