শামীমকে পিটিয়ে হত্যা: ধামরাইয়ের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি আটক

শামীমকে পিটিয়ে হত্যা: ধামরাইয়ের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি আটক
হাবিবুর রহমান হাবিব | ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক শিক্ষার্থী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ধামরাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

আজ শুক্রবার ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শামীমকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আট শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে গত রাতে মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে আসামিদের কেউ এখনো গ্রেপ্তার হননি।

মুঈদ বলেন, 'সম্প্রতি শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় পোশাক শিল্পে অস্থিরতা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যাকাণ্ড—এই দুটি ঘটনাই অস্বাভাবিক।'

তিনি বলেন, 'নির্ভরযোগ্য বিভিন্ন সূত্রের তথ্য অনুসারে দুটি ঘটনার সঙ্গে হাবিবুর রহমান হাবিবের সংশ্লিষ্টতা আছে। তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বর্তমানে তাকে আশুলিয়া থানায় রাখা হয়েছে।'

গত বুধবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত তিন দফায় শামীমকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার সুদীপ্ত শাহীন বাদী হয়ে আট শিক্ষার্থী ও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা করেন।

এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন—বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র মো. আহসান লাবীব, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের রাজু আহাম্মদ, একই বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের মোহাম্মদ রাজন মিয়া, ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের হামিদুল্লাহ সালমান, একই বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মো. মাহমুদুল হাসান রায়হান, ইতিহাস বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের জুবায়ের আহমেদ, একই শিক্ষাবর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মো. আতিকুজ্জামান এবং সিএসই বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সোহাগ মিয়া।

এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে এই আট শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

পুলিশের একাধিক সূত্র ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছে, মামলার এজাহারনামীয় আসামিদের গতকাল বহিষ্কার করা হলেও তারা বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়েই অবস্থান করছেন।

সূত্র আরও জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ায় আসামিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর একেএম রাশিদুল আলম ডেইলি স্টারকে টেলিফোনে বলেন, 'পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে কোনো অনুমতি এখন পর্যন্ত চাওয়া হয়নি। তারা (পুলিশ) যদি আনুমতি চায়, তাহলে আমরা বিষয়টি দেখব।'

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

2h ago