শীতের আগেই গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটের সমাধান: জ্বালানি উপদেষ্টা

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

দেশে চলমান লোডশেডিং ও আসন্ন শীত মৌসুমে গ্যাস সংকট মোকাবিলায় সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জনিয়েছেন, শীতের আগেই এসব সমস্যা সমাধান করা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

শীতের সময় গ্যাস সংকট থাকে, ডলারেরও সংকট আছে, যে কারণে সার আমদানি করা যাচ্ছে—এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, 'এটা সুসংবাদের মতোই বলা যায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং আমাদের অন্যান্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে সব উন্নয়ন সহযোগীরা দেখা করতে এসেছে। তারা প্রত্যেকে বলেছে, তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে এবং সহয়তার পরিমাণ বাড়াবে।'

গ্যাস ও বিদেশ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি বিল পরিশোধে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় বিশ্বব্যাংকের কাছে এক বিলিয়ন এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কাছে এক বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা চেয়েছে বলেও এ সময় জানান তিনি।

'দ্রুত অর্থ ছাড় হবে এ রকম প্রতিশ্রুতি আমরা পেয়েছি। ডলার সংকটের কারণে জ্বালানি কিংবা বিদ্যুৎ আমদানি ব্যাহত হয়েছে, আশা করছি শীতের আগেই সেটি সমাধান করতে পারব,' যোগ করেন তিনি।

ভোলার গ্যাস প্রসঙ্গে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, 'যে জায়গাটা সম্ভাবনাময়, সেখানে ১০০টি কূপ খনন করা হবে। এখানে যদি প্রত্যাশা মতো গ্যাস পাওয়া যায়, তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। আমরা সিএনজি করে আনা এবং ব্রিজ করা—দুটির কথাই ভাবছি।'

নতুন করে কুইক রেন্টাল চুক্তি নবায়ন করা হবে না বলেও এ সময় জানান তিনি। ফাওজুল কবির বলেন, 'আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা চুক্তিগুলো দুটি কমিটি পর্যালোচনা করছে। কমিটির পরামর্শের ভিত্তিতে আমরা কাজ করব।'

বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বসিয়ে টাকা দেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'একটি চুক্তি তো আছে। যতক্ষণ একটি চুক্তি বলবৎ থাকে, তখন চুক্তিটা তো আপনি অনুসরণ করতে পারেন। সমন্বয় বা চুক্তি যতক্ষণ পর্যন্ত বাতিল না করছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত চুক্তি অনুসারে আমাদের কাজ করতে হবে।'

'একটু ধৈর্য্য ধরুন, কমিটির প্রতিবেদন আসুক। তারপর দেখুন আমরা ব্যবস্থা নিই কি না,' যোগ করেন তিনি।

Comments