ব্যালন ডি'অরে নাম না থাকায় হতাশ রদ্রিগো

ব্যালন ডি'অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় এবার রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়দেরই আধিক্য। ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকার ৭ জনই স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের। কিন্তু সেখানে নেই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রদ্রিগোর নাম। আর এই তালিকায় নিজের নাম না দেখে চরম বিস্মিত হয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ানও। সংক্ষিপ্ত তালিকায় তার জায়গা প্রাপ্য ছিল বলেই মনে করেন তিনি।

আগামী ২৮ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে এবারের ব্যালন ডি'অর বিজয়ীর নাম। এর আগে সম্প্রতি ৩০ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকা প্রকাশ করার পর সামাজিক মাধ্যমে বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেন রদ্রিগো। গত মৌসুমে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ট্রফি হাতে নিজের ছবি দিয়ে হাসির ইমোজি দিয়ে কটাক্ষ করেন নির্বাচকদের।

সম্প্রতি ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্ষোভ প্রকাশ করে বললেন, 'আমি খুবই হতাশ হয়েছিলাম। আমার মনে হয়, এটা আমার প্রাপ্য ছিল। ৩০ জনের তালিকায় যারা আছেন, তাদেরকে আমি খাটো করতে চাই না অবশ্যই। তবে বিশ্বাস করি, সেখানে জায়গা পাওয়া উচিত ছিল আমার। এটা বিস্ময়কর ছিল… তবে আমার তো আসলে কিছু করার নেই। আমি তো সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেউ নই।'

আর সামাজিক মাধ্যমে করা পোস্টগুলো যে বিদ্রূপ করে দিয়েছেন সেটাও স্বীকার করেছেন ২৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড, 'আমি উপহাস করেই পোস্ট করেছিলাম। এখন এসব নিয়ে আর বেশি কিছু বলার নেই। আমার ক্ষোভের কথা সবারই জানা। রিয়াল মাদ্রিদে ও জাতীয় দলে সবাই আমাকে সমর্থন করেছে, বাইরেও অনেকে আমাকে বার্তা পাঠিয়েছে।'

তবে নিজের নির্দিষ্ট পজিশন না থাকার বিষয়টিকেও তুলে ধরেছেন রদ্রিগো। অভিমানি কণ্ঠে বলেন, 'প্রায়ই আমাকে ব্যবহার করা হয় শূন্যস্থান পূরণের জন্য। কোনো এক পজিশনে কোনো ফুটবলার নেই? রদ্রিগোকে পাঠাও। ডান পাশে কেউ নেই? রদ্রিগো আছে। নাম্বার নাইন নেই? রদ্রিগো তো আছেই। আমার মনে হয় এটাই কারণ। তবে সমস্যা নেই। আমি সসময়ই দলের জন্য খেলি, দলের প্রয়োজনই আগে।'

গত মৌসুমে রিয়ালের তিন শিরোপা জেতাতে অন্যতম ভূমিকা পালন করেন রদ্রিগো। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে রিয়ালের হয়ে গত মৌসুমে করেছেন ১৭ গোল। পাশাপাশি করেছেন ৯টি গোলে সহায়তা। কিন্তু তারপরও ব্যালন ডি'অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা হয়নি তার।

Comments

The Daily Star  | English

Have patience for election

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday said the government would issue a roadmap to the election as soon decisions on electoral reforms are made.

5h ago