ভুটানের বিপক্ষে এক গোলের জয় পেল বাংলাদেশ
ম্যাচের শুরুতেই প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের ভুলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। সেই ভুলের সুবাদে পাওয়া গোলই শেষ পর্যন্ত গড়ে দেয় ম্যাচের পার্থক্য। প্রথম ফিফা প্রীতি ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে কোনোমতে জয় পায় বাংলাদেশ। তবে জয় পেলেও স্বস্তি মিলেনি লাল-সবুজ জার্সিধারীদের।
বৃহস্পতিবার থিম্পুর চ্যাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে ভুটানের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচের একমাত্র গোলটি আসে শেখ মোরসালিনের পা থেকে।
ভূপৃষ্ঠ থেকে আট হাজার ফুট উচ্চতায় খেলার কারণে স্বাভাবিক পারফরম্যান্স করা নিয়ে শঙ্কা ছিল বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের। তার উপর তিন মাস বিরতির পর মাঠে নেমেছে তারা। ফিটনেস নিয়েও ছিল দুশ্চিন্তা। তবে পঞ্চম মিনিটে ভুটান গোলরক্ষক টিশেরিং ধেনদুপের ভুলে গোল পেলে কাজটা সহজ হয়ে যায় জামালদের।
ডান প্রান্তে গোলমুখে ক্রস করেছিলেন রাকিব হোসেন। এগিয়ে এসে ফিস্ট করে বিপদমুক্ত করতে চেয়েছিলেন ভুটান গোলরক্ষক। কিন্তু শেখ মোরসালিনের পায়ে লেগে ফের গোলরক্ষকের শরীরে লেগে বল পেয়ে যান এই ফরোয়ার্ড। আলতো টোকায় বল জালে জড়াতে কোনো ভুল হয়নি তার। জাতীয় দলের জারিতে এটা তার পঞ্চম গোল।
ম্যাচের একাদশ মিনিটে সতীর্থের ক্রস বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিতুল মার্মা বল ধরলে তার গ্লাভস থেকে হাত দিয়ে খোঁচা মেরে বল জালে পাঠান ওরগিয়ান টিশেরিং ওয়াংচুক। তবে বিস্ময়করভাবে এই অপরাধের জন্য লাল কার্ড না দিয়ে ওয়াংচুককে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি।
১৯তম মিনিটে ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন নিমা ওয়াংদি। তবে মিতুলের দৃঢ়তায় কোনো বিপদ হয়নি। কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন তিনি। সেই কর্নার থেকে একেবারে ফাঁকায় হেড নিয়েছিলেন ইয়েশি গেল্টশেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য ভুটানের। তার শট একেবারে গোলবার ঘেঁষে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ায় ভুটান। পাঁচ মিনিট যেতেই বল জালেও জড়ায় তারা। তবে অফসাইডের কারণে গোল মিলেনি। তবে চাপ অব্যাহত রাখে দলটি। ৭৬তম মিনিটে গোল মুখে বিকাশ প্রধান পা ছোঁয়াতে পারলে সমতায় ফিরতে পারতো স্বাগতিকরা।
ম্যাচের যোগ করা সময়ে ব্যবধান বড় হতে দেননি ভুটান গোলরক্ষক। বাঁ প্রান্তে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া বদলি খেলোয়াড় রাব্বী হোসেন রাহুলের শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান তিনি। কর্নার থেকেও সুযোগ ছিল। তবে আরেক বদলি খেলোয়াড় মেহেদী হাসানের শট লক্ষ্যে থাকেনি।
Comments