সরকারের সিদ্ধান্তের পর শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে বলা হবে ভারতকে: রয়টার্সকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা বাড়ছে। হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে ভারত থেকে ফেরত আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।

বৃহস্পতিবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে ভারতকে অনুরোধ করা হবে কি না, সে বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।'

ছাত্র-জনতার গনআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, 'শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অনেক মামলা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয় যদি সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমাদের তাদের (ভারতকে) অনুরোধ করতে হবে তাকে (শেখ হাসিনাকে) বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে।'

'এটি ভারত সরকারের জন্য বিব্রতকর হবে। ভারত এটি জানে এবং আমি নিশ্চিত যে তারা এ বিষয়ে খেয়াল রাখবে,' বলেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো জবাব দেয়নি।

সরকারি চাকরি কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় শিক্ষার্থীসহ ৩০০ জনের বেশি নিহতের পর শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন।

ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে।

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সেলের উপ-পরিচালক আতাউর রহমান বলেন, 'আন্দোলন চলাকালে হত্যা, নির্যাতন ও গণহত্যার জন্য শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।'

ইতোমধ্যে হাসিনা সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও উপদেষ্টাদের মধ্যে অন্তত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শেখ হাসিনার দেওয়া একমাত্র বিবৃতিতে তিনি বিক্ষোভের সময় হত্যা ও ভাঙচুরের তদন্ত দাবি করেছেন। তবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।

 

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

7h ago