হুমকির মুখে ফুটবল ছাড়ব না: কাজী সালাউদ্দিন

Kazi Salahuddin

ক্ষমতার পালাবদলের সঙ্গে রাষ্ট্রীয়, সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে পদত্যাগ ও রদবদলের হিড়িক শুরু হয়েছে। দাবি উঠেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের পদত্যাগেরও। তবে সাবেক এই কিংবদন্তি ফুটবলার বলেছেন হুমকির মুখে ফুটবল ছেড়ে তিনি পদত্যাগ করবেন না।

বাংলাদেশ ফুটবল আল্ট্রাস নাম দিয়ে ভক্তদের একটি দল সম্প্রতি সালাউদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে সরব হয়েছে। তারা মাহফুজা আক্তার কিরন ও সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাম মোর্শেদীরও পদত্যাগ চেয়েছিল। সালাম মোর্শেদী ইতোমধ্যে পদত্যাগ করলেও সালাউদ্দিন তার অবস্থানে অনড়।

আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর থেকেই বিভিন্ন অঙ্গনে চলছে অস্থিরতা। সহিংসতা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নিহতের পাশাপাশি ক্ষমতার লড়াই চরমে।

রোববার ভক্তদের নাম দেয়া এই গ্রিপ বাবুফে ভবনের সামনে জড়ো হয়ে সালাউদ্দিন ও কিরনের পদত্যাগ দাবি করে। তাদের কাজের তীব্র সমালোচনা করে।

এই ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে দ্য ডেইলি স্টারকে সালাউদ্দিন প্রশ্ন তুলেন এই সংগঠন নিয়ে,  'প্রথমত, বাংলাদেশ ফুটবল আল্টার্সের কী ভূমিকা ফুটবলে? আমি ঘোষণা দিয়েছি ২৬ অক্টোবর বাফুফে নির্বাচন হবে। আমি নির্বাচন করতে পারব কিনা তারা বলার কে? তাদের কে অধিকার দিয়েছে আমাকে হুমকি দেওয়ার?'

দীর্ঘদিন বাফুফে সভাপতির পদে থাকা সালাউদ্দিন জানান সরে যাওয়া তো দূরের কথা, তিনি পঞ্চমবারের মতন নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, 'আমি পদত্যাগ করছি না। আমি আরও আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। আমি কোন হুমকির মুখে ফুটবল ছাড়ব না।'

দেশের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই তারকা জানান, এর আগেও বিরুদ্ধ পরিবেশে তিনি স্বীকৃতি পেয়েছেন, কাজেই কারো হুঙ্কারে ফুটবল ছাড়বেন না, 'আমি সাদামাটা মানুষ না। আমার দীর্ঘ ফুটবলের ইতিহাস আছে। আমি জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলাম। আমি মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম। আওয়ামী লীগের আমলে ছাড়াও আমি জিয়াউর রহমানের আমলে, খালেদা জিয়ার আমলে, হুসেন মোহাম্মদ এরশাদ ও জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার, স্বাধীনতা পদক, শেখ কামাল আজীবন সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছি। আমি নিজের ইচ্ছায় ফুটবল ছাড়ব, কারো হুমকিতে নয়।'

'তারা যদি ভীষণ জনপ্রিয় হয়, তাদের নির্বাচন করে আসা উচিত। আমাকে নিয়ে তারা এত উদ্বিগ্ন কেন? আমি যদি ব্যর্থ হই, কাউন্সিলরা আমাকে ভোট দেবে না। আওয়ামী লীগের সংগঠকদের বিরুদ্ধে গিয়ে আমি প্রথম বাফুফে সভাপতি হয়েছিলাম।'

সালাউদ্দিন নিজে থেকে সরে না গেলে নির্বাচন ছাড়া তাকে বদলের সুযোগ নেই। সরকারি হস্তক্ষেপে বাফুফে সভাপতিকে সরাতে গেলে ফিফা বাংলাদেশ ফুটবলকে নিষিদ্ধ করতে পারে।

Comments