জানমাল-রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে কঠোর হওয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

জানমাল-রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে কঠোর হওয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

আজ সোমবার দিবাগত রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা জানান।

এর আগে বঙ্গভবনে তিন বাহিনীর প্রধানদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, 'সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহত শহীদদের স্মরণে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। এছাড়া জরুরি ভিত্তিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সকল দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে, সেটি যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।'

তিনি বলেন, 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় আটকসহ সকল বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও আহতদের সুচিকিৎসায় প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা দেওয়া হবে। সর্বসম্মতিক্রমে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

'আমি দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এবং লুটতরাজ ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। কঠোর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করছি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। দেশের অর্থনীতি, প্রশাসন ও শিল্প কল-কারখানা চালু রাখার লক্ষ্যে সবাইকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাই। ছাত্রনেতা ও শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে শিগগির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হবে। এছাড়া যারা হত্যা ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িত, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী অনতিবিলম্বে বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করা হবে। দেশের সব অফিস-আদালত আগামীকাল থেকে স্বাভাবিকভাবে চলবে।'

দেশবাসীর উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, 'আসুন আমরা দেশকে বাঁচাতে একযোগে কাজ করি। পারস্পারিক হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে ও প্রতিহিংসার ঊর্ধ্বে উঠে দেশকে এগিয়ে নিতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার জন্য আমি বিনয়ের সঙ্গে আপনাদের প্রতি অনুরোধ করছি। একটি সুন্দর ও সোনালি ভবিষ্যতের প্রত্যাশায় আমরা এগিয়ে যাব।'

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

4h ago