প্যারিস অলিম্পিক

জন্মদিনে ভাইকে নিয়ে সোনা জিতলেন ক্রোয়েশিয়ান রোয়ার

ছবি: রয়টার্স

জন্মদিনে কোন উপহার পেলে সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন, সেটা বড় ভাই ভ্যালেন্ত সিনকোভিচ না বললেও জানাই ছিল মার্তিন সিনকোভিচের। একজন ক্রীড়াবিদের জীবনে অলিম্পিক সোনার চেয়ে বড় আর কী হতে পারে! উভয়েই আবার বাস করেন একই খেলার অঙ্গনে। অলিম্পিকের মঞ্চে রোয়িংয়ে ক্রোয়েশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করছেন দুজন— তারা দুই ভাই।

ভ্যালেন্তের ৩৬তম জন্মদিনটা সোনালী রঙেই রঙিন হয়েছে। তাতে অবদান রাখতে পেরেছেন বয়সে ১৫ মাসের ছোট ভাই মার্তিন। শুক্রবার প্যারিস অলিম্পিকে ছেলেদের জোড়া রোয়িং ইভেন্টে তারা জিতেছেন স্বর্ণ পদক।

এটি অলিম্পিকে ক্রোয়েশিয়ার এই জুটির তৃতীয় সোনা। এই নিয়ে টানা তিনটি অলিম্পিকে এই ইভেন্টে সেরা হয়েছেন তারা। দুই রোয়ার ভাইয়ের গলায় ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকের পর ২০২১ সালের টোকিও অলিম্পিকেও সোনা ঝুলেছিল।

তবে এবারের অলিম্পিকে সোনা তো দূরে থাক, কোনো পদকই গলায় না ওঠার সম্ভাবনা ছিল তাদের। ২০০০ মিটারের লড়াইয়ে প্রথম ১৫০০ মিটার শেষে দুজন ছিলেন তলানির তিনের মধ্যে।

গ্রেট ব্রিটেন শুরু থেকেই দারুণ গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল। রোমানিয়া তাদের সঙ্গে টক্কর দিয়েছে অনেকক্ষণ। জমজমাট প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষ ৫০০ মিটারে প্রবেশ করতেই পাল্টে যায় দৃশ্যপট। দ্রুত এগিয়ে রোমানিয়াকে পেছন ফেলে দ্বিতীয় স্থানের দিকে পা বাড়ায় ক্রোয়েশিয়া। শেষ একশ মিটারে গিয়ে তারা গ্রেট ব্রিটেনকেই ফেলে দেয় পেছনে।

অলিভার ওয়েইন-গ্রিফিথ ও টম জর্জ পুরো দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন। তবে তারা ক্রোয়েশিয়ান ভাইদের চেয়ে ৪৫ সেকেন্ড বেশি সময় নিয়ে ইভেন্ট শেষ করে পান রুপা। ৬ মিনিট ২৩.৬৬ সেকেন্ড সময়ে ফিনিশিং লাইন পেরিয়ে ক্রোয়েশিয়া জেতে স্বর্ণ পদক।

অধিকাংশ সময়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা রোমানিয়া শেষ পর্যন্ত কোনো পদকই পায়নি। সুইজারল্যান্ডের রোমান রোয়েসলি এবং আন্দ্রিন গুলিক মিলে ৬ মিনিট ২৪.৭৬ সময় নেন। ব্রোঞ্জ পদক ওঠে তাদের গলায়।

সোনা জয়ের অনুভূতি প্রকাশ করে মার্তিন বলেছেন, 'একটা পদক পাওয়াই ভেবেছিলাম কঠিন হবে। কিন্তু এরপর আমরা (নিজেদেরকে) বলেছি যে, সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করব। ১৫০০ মিটারের পরে আমরা শুধু এগিয়ে গেছি, এগিয়েছি পাগলের মতো। আমি জানিনা লড়াইয়ে কী হয়েছে, কিন্তু আমরা (জয়) করেছি। আর আমার ভাইকে জানাচ্ছি, শুভ জন্মদিন।'

Comments

The Daily Star  | English

The end of exemption?

TRIPS waiver end poses dual challenge: legal and technological

19h ago