সাগরে ৩ নম্বর সংকেত, থেমে থেমে সারা দিনই থাকবে বৃষ্টি
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে প্রায় সারা দেশেই বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে আগামীকালও এ রকম বৃষ্টি থাকতে পারে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে হাতিয়ায় ৮৮ মিলিমিটার।
এই সময়ে রাজধানী ঢাকায় চার মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া দুই জেলায় ভারী বৃষ্টি—চট্টগ্রামে ৬২ ও সন্দ্বীপে ৫১ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে। মাঝারী ধরনের ভারী বৃষ্টি হয়েছে পটুয়াখালী, সীতাকুণ্ড ও খেপুপাড়ায়।
অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, নরসিংদী, বান্দরবান, নেত্রকোণা, কুমিল্লা, রাঙ্গামাটি, সাতক্ষীরা, ভোলা, সিরাজগঞ্জ, নোয়াখালী, বরিশাল, যশোর, খুলনা, ফরিদপুর, চুয়াডাঙ্গা, ময়মনসিংহ ও সৈয়দপুরে হালকা থেকে মাঝারী ধরনের ভারী বৃষ্টি হয়েছে তিন ঘণ্টায়।
আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে তুলনামূলক কম বৃষ্টি হচ্ছে, তবে দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বৃষ্টি দেখা যাচ্ছে। আগামীকালও থেমে থেমে বৃষ্টি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।'
পূর্বাভাস অনুসারে, উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যে কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
সেই সঙ্গে যশোর, কুষ্টিয়া, ঢাকা, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেটের ওপর দিয়ে দক্ষিণপূর্ব-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এসব এলাকার নদী বন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
Comments