প্রথম দিনে উইন্ডিজকে অলআউট করার পর ইংল্যান্ডও বিপাকে

ছবি: রয়টার্স

দারুণ শুরু পাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের লাগাম টেনে ধরলেন মার্ক উড ও গাস অ্যাটকিনসন। এরপর ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে জেসন হোল্ডার ও জশুয়া ডা সিলভা প্রতিরোধ গড়ে শতরানের জুটি আনলেন। তারা বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর অ্যাটকিনসন ও ক্রিস ওকস দ্রুত থামালেন ক্যারিবিয়ানদের ইনিংস। তবে সেই স্বস্তি হারিয়ে শেষবেলায় ৩ উইকেট খুইয়ে বিপাকে পড়ল ইংল্যান্ডও।

বার্মিংহ্যামে শুক্রবার সিরিজের তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিনটা ছিল পেসারদের। সারাদিনে পতন হওয়া ১৩ উইকেটের একটি বাদে সবকটি গেছে তাদের ঝুলিতে। টস জিতে আগে ব্যাট করে উইন্ডিজ থামে ২৮২ রানে। জবাব দিতে নামা ইংল্যান্ড ৩৮ রান তুলতে হারিয়ে ফেলেছে ৩ উইকেট।

আক্রমণাত্মক ঢঙে শুরু করা স্বাগতিকদের ইনিংসে প্রথম ধাক্কা দেন জেইডেন সিলস। অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে কাটা পড়েন জ্যাক ক্রলি। ১৩ বলে ১৮ রান করে ফেরেন তিনি। আগে জীবন পাওয়া আরেক ওপেনার বেন ডাকেট ইনসাইড এজে বোল্ড হন আলজারি জোসেফের বলে। ১২ বলে ৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা উডকে রানের খাতা খুলতে দেননি সিলস। দ্বিতীয় স্লিপে নিচু ক্যাচ নেন হোল্ডার।

দিনের শেষ দুই ওভারে আর কোনো বিপদ ঘটতে দেননি অলি পোপ ও জো রুট। পোপ অপরাজিত আছেন ১১ বলে ৬ রানে। রুট খেলছেন ৪ বলে ২ রানে। তাদের কাঁধে এখন ইংল্যান্ডকে পথ দেখানোর দায়িত্ব। হাতে ৭ উইকেট নিয়ে ২৪৪ রানে পিছিয়ে আছে ইতোমধ্যে সিরিজ জিতে নেওয়া দলটি।

এর আগে অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও মিকাইল লুইসের কল্যাণে ৭৬ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় সফরকারীরা। এরপর ঘটে ছন্দপতন। ৩৯ রানের মধ্যে পড়ে যায় ৫ উইকেট। অ্যাটকিনসনের বলে উইকেটরক্ষক জেমি স্মিথের তালুবন্দি হন লুইস। ৬১ বলে তার সংগ্রহ ২৬ রান। থিতু হতে না পেরে কার্ক ম্যাকেঞ্জি আর আলিক আথানেজও বিদায় নেন মধ্যাহ্ন বিরতির আগে।

একপ্রান্ত ধরে থাকা ব্র্যাথওয়েট ফিফটিতে পৌঁছান ৭০ বলে। তার ইনিংস থামান উড। ৮৬ বলে ৮ চারে ৬১ রান করে লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে পেছনে ক্যাচ দেন ক্যারিবিয়ান দলনেতা। এরপর কাভেম হজকে ওকস দ্রুত বোল্ড করলে জেঁকে বসে ভীষণ চাপ। সেটা দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে সামলে নেন হোল্ডার ও ডা সিলভা। ১১৫ রানে ৫ উইকেট হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ চা বিরতিতে যায় ১৯৭ রান নিয়ে।

১৯৮ বলে ১০৯ রানের জুটি ভেঙে ইংলিশদের দাপট ফিরিয়ে আনেন ওকস। আলগা শটে উইকেটরক্ষক স্মিথকে ক্যাচ দেওয়া ডা সিলভা ৩ চারে ৯৯ বলে ৪৯ রানে সাজঘরে ফেরেন। হোল্ডার শিকার হন অ্যাটকিনসনের। অফ স্টাম্প হারানোর আগে ৬ চার ও ১ ছয়ে ১১২ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

আরেকবার ছন্দপতনে ক্যারিবিয়ানরা শেষ ৫ উইকেট হারায় ৫৮ রানে। তবে শেষ দুই জুটিতে আসে ৩৬ রান। ইংল্যান্ডের পক্ষে সবচেয়ে সফল অ্যাটকিনসন ৪ উইকেট নেন ৬৭ রানে। ৩ উইকেট নিতে ওকসের খরচা ৬৯ রান। উড ২ উইকেট পান ৫২ রানে। বাকিটি যায় অফ স্পিনার শোয়েব বশিরের ঝুলিতে।

Comments

The Daily Star  | English

Crowd control operations: Police seek to restrict use of lethal arms

A special committee of the Police Headquarters recommends replacing 50 percent of the long barrel firearms with short-barrel ones in order to lower casualties during crowd control operations.

10h ago