বাংলা ব্লকেড: শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার আহ্বান কাদেরের

বাংলা ব্লকেড: শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার আহ্বান কাদেরের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আদালতের আদেশ অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

কাদের বলেন, 'আমরা জেনেছি, আগামী আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে আপিল বিভাগে চূড়ান্ত শুনানির মাধ্যমে কোটা সংক্রান্ত বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে। আমরা তত দিনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধারণ করতে বলবো। একইসঙ্গে মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি হতে পারে এ ধরনের কর্মসূচি পরিহার করে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যার যার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করবো।'

আদালতের আদেশের পরেও বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। তারা যদি কর্মসূচি প্রত্যাহার না করেন সে ক্ষেত্রে বিকল্প কী ভাবছেন—জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, 'আদালত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে যে রায়টি দিয়েছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় এই মুহূর্তে তারা সাড়া দিচ্ছে কি দিচ্ছে না—এটারও তো একটা সময় লাগে! এই মুহূর্তেই এ ব্যাপারে মন্তব্য করা আমার মনে হয় সমীচীন নয়। আমরা আজকের দিন দেখি, কালকের দিন দেখি।'

অনেক রাজনৈতিক দল মত দিয়েছে তাদের এই আন্দোলন ন্যায্য, আওয়ামী লীগ কী মনে করছে জানতে চাইলে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'তারা যে বিষয় নিয়ে আন্দোলন করছে, আমরা তো সেই কোটামুক্ত সিদ্ধান্তই নিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কাজেই আমাদের অবস্থান পরিষ্কার, যখন কোটা নিয়ে এত কিছু তখন কোটার পক্ষে তো আমরা অবস্থান নেইনি! এখন আমাদের অবস্থান হচ্ছে, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। আমরা আশা করি, আদালত বাস্তবসম্মত রায় দিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।'

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলনও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমার বিশ্বাস, অচিরেই এই সমস্যার সমাধান হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

JnU students continue blockade for 2nd day

Students, teachers, and other stakeholders have declared academic activities indefinitely suspended

31m ago