৫০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের সম্পদ আছে আবেদ আলীর: সিআইডি
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীর ৫০ কোটি টাকার বেশি সম্পদ রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছেন সিআইডি কর্মকর্তারা।
তদন্তের সঙ্গে জড়িত এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এর মধ্যে রয়েছে মিরপুরের পাইকপাড়া এলাকায় একটি ছয়তলা ভবন, পশ্চিম শেওড়াপাড়ায় তিনটি ফ্ল্যাট, একটি হ্যারিয়ার এসইউভি, একটি টয়োটা প্রিমিও গাড়ি এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নগদ টাকা।'
সিআইডি ইতোমধ্যে গাড়িগুলো জব্দ করেছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, 'আবেদ আলী সম্প্রতি পশ্চিম শেওড়াপাড়ার একটি ভবনে থাকা আরও দুটি ফ্ল্যাট বিক্রি করেছেন। আমরা সন্দেহ করেছি যে তার আরও সম্পত্তি রয়েছে এবং এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।'
চ্যানেল ২৪ পিএসসির পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক আলোচনা শুরু হয় আবেদ আলীকে নিয়ে।
সরকারি চাকরির পরীক্ষা, এমনকি বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে আবেদ আলী, তার ছেলে ঢাকা উত্তর মহানগর ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক (বহিস্কৃত) সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম এবং পিএসসির ছয় কর্মকর্তাসহ অন্তত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
সিআইডি কর্মকর্তা জানান, ২০১৫ সালে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে আবেদ আলী পিএসসির চাকরি হারান। তারপরও পিএসসির কয়েকজন কর্মকর্তার সহায়তায় তিনি তার প্রশ্নফাঁচ চক্রের কাজ চালিয়ে যান।
সিআইডি কর্মকর্তা বলেন, 'গতকাল ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কৃত সিয়াম তার বাবাকে এই অপরাধে সহায়তা করতেন।'
সিআইডি কর্মকর্তা ও স্থানীয়রা জানান, আবেদ আলী এলাকায় খুব একটা পরিচিত না হলেও সম্প্রতি বাড়ি নির্মাণ শুরু করেন। তিনি নিজেকে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে পরিচয় দিতেন।
এলাকায় নিজের নামে একটি মসজিদ নির্মাণ করেছেন আবেদ আলী।
তার ফেসবুক আইডিতে দেখা যায়, আবেদ আলী আগামী নির্বাচনে তার পক্ষে কাজ করার জন্য স্থানীয় জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে উপজেলায় প্রচারণা চালাচ্ছেন।
একটি ভিডিওতে তিনি দাবি করেছেন, তিনি অবৈধ পথে অর্থ উপার্জন করেননি, কঠোর পরিশ্রম করে এই পর্যায়ে এসেছেন। তিনি স্বীকার করেন যে ঢাকায় তার একটি সাত তলা ভবন ও ১১ তলা ভবন রয়েছে এবং ৭১ ডেসিমেল জমিতে একটি মসজিদ স্থাপন করেছেন।
উপজেলায় এক সমাবেশে তিনি স্থানীয়দের বলেছেন, 'আমি একটি বাড়ি নির্মাণ শুরু করেছি, যার জন্য ইতোমধ্যে তিন কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।'
Comments