লক্ষ্মীপুরে বাসায় ঢুকে প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যা, টাকা-স্বর্ণালংকার লুট

লক্ষ্মীপুর
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

লক্ষ্মীপুরে ভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় ঢুকে এক সৌদি আরব প্রবাসীর স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার খবর পাওয়া গেছে।

গতকাল সোমবার রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের মিয়ারবেড়ী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত নাজমুন নাহার এলাকার সৌদি প্রবাসী নুরুজ্জামানের স্ত্রী। তিনি ওই সময় বাসায় একাই ছিলেন।

নিহতের স্বজন ও পুলিশের সূত্রে জানা যায়, আজ মঙ্গলবার সকালে দরজা খোলা দেখে প্রতিবেশীরা ওই বাসায় ঢুকে নাজমুন নাহারের হাত-পা বাঁধা মরদেহ দেখতে পান। পরে তারাই নিহতের দুই মেয়েসহ অন্য স্বজনদের খবর দেন।

স্বজনদের দাবি ডাকাতি করতে এসে নাজমুন নাহারকে হত্যার পর বাসায় থাকা স্বর্ণালংকার ও টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতদল। তবে পুলিশের দাবি, ডাকাতি নয় এটা চুরির ঘটনা।

খবর পেয়ে আজ সকাল ৮টার দিকে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ সোহেল রানা ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় তারা নিহতের স্বজনসহ আশপাশের মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেন।

নিহতের বড় মেয়ে আসমা আক্তার লিপি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা দুই বোন স্বামীর বাড়িতে থাকি। আমার বাবা নুরুজ্জামান সৌদি প্রবাসী। মা একাই বাসায় থাকতেন। সোমবার রাতের কোনো এক সময় বাসার পাশের আমড়া গাছ বেয়ে উপরে উঠে ভেন্টিলেটর ভেঙে ডাকাতরা ঘরে ঢোকে। পরে হাত-পা-মুখ বেঁধে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর স্বর্ণালংকার ও মায়ের চিকিৎসার জন্য বাবার পাঠানো তিন লাখ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে পালিয়ে যায়।'

অবশ্য লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলছেন, এটি চুরির ঘটনা। নিহতের পরিচিত কেউ ঘরে ঢুকে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে স্বর্ণাংকার ও টাকাপয়সা লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্ততি চলছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।'

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল রানা বলেন, 'এই ঘটনার তদন্ত চলছে। এর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka to pursue extradition of Hasina, Prof Yunus tells The Hindu

Bangladesh will pursue the extradition of ousted Prime Minister Sheikh Hasina from India, Chief Adviser Professor Muhammad Yunus told The Hindu

41m ago