সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের তথ্য প্রকাশে আইনের কঠোর প্রয়োগের নির্দেশ

সমন্বয়কদের খাওয়ানোর ছবি
হাইকোর্ট। ফাইল ছবি স্টার

সরকারি বেসামরিক কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য প্রকাশ সংক্রান্ত আইন কঠোরভাবে প্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এছাড়া আগামী তিন মাসের মধ্যে এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশনা দেন।

সরকারি চাকরিজীবী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯ এর ১৩ ধারা অনুযায়ী, প্রত্যেক সরকারি কর্মচারী চাকরিতে প্রবেশের সময় যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকারের নিকট তার অথবা তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন বা দখলে থাকা শেয়ার, সার্টিফিকেট, সিকিউরিটি, বীমা পলিসি এবং মোট ৫০ হাজার টাকা বা এর বেশি মূল্যের অলংকারাদিসহ স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির ঘোষণা করবেন।

প্রত্যেক সরকারি কর্মচারী প্রতি ৫ পাঁচ বছর পরপর প্রদর্শিত সম্পত্তির হ্রাস-বৃদ্ধির হিসাব বিবরণী যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকারের নিকট দাখিল করবেন।

এই বিধিমালা অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের তথ্য প্রকাশের জন্য যথাযথ প্রয়োগের নির্দেশনা চেয়ে গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস রিট আবেদন করেন।

আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্ট একটি রুলও জারি করেন। রুলে দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদ অর্জন রোধে যথাযথ আইন প্রণয়নে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

আগামী ২২ অক্টোবর রুলের শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।

আবেদনের শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে অ্যাডভোকেট এ কে এম ফজলুল হক উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Enforced disappearances: Eight secret detention centres discovered

The commission raised concerns about "attempts to destroy evidence" linked to these secret cells

14m ago