এমপি আনার হত্যা: আ. লীগ নেতা বাবুর দ্বিতীয় দফা রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর

এমপি আনার হত্যার ফরেনসিক রিপোর্ট
আনোয়ারুল আজীম আনার। ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যা মামলায় ঝিনাইদহের আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুর ৫দিনের রিমান্ড আবেদন খারিজ করেছেন আদালত।

এছাড়া, আসামি বাবুকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমান আজ সোমবার বাবুর পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন।

ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, কলকাতায় এমপি আনারকে হত্যার পর কাজী কামাল বাবু যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমানুল্লাহ ওরফে শিমুলের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করেছিলেন সেটি উদ্ধার করতে তদন্ত কর্মকর্তা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অভিযান চালাবেন।

এই মোবাইল ফোন উদ্ধারের জন্য তদন্ত কর্মকর্তা বাবুর রিমান্ড চেয়েছিলেন।

এর আগে, গত ৯ জুন একই মামলায় ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী কামাল বাবুকে সাত দিনের রিমান্ডে দেওয়া হয়।

পরে বাবু স্বীকারোক্তিতে জানান, এমপি আনারকে হত্যার পর ১৬ মে আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া দেশে ফেরার একদিন পর তিনি তার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অবশ্য রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদনে বলেছে, বাবুকে হয়রানির জন্য মামলায় জড়ানো হয়েছে।

ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে আবেদনে আরও বলা হয়, একই মামলায় একজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার পর তাকে রিমান্ডে নেওয়ার সুযোগ নেই।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে বাবুকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ মামলায় গত ৭ জুন ঝিনাইদহের আদর্শপাড়া এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ নেতা বাবুকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে গত ১২ মে থেকে নিখোঁজ ছিলেন এমপি আনার। নয় দিন পর ভারত ও বাংলাদেশের পুলিশ জানায়, কলকাতার নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন-আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, তার ভাগ্নে তানভীর ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান ও ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের আরেক নেতা সাইদুল করিম মিন্টু।

তাদের মধ্যে শিমুল ভূঁইয়া, তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমান বিভিন্ন তারিখে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।


 

Comments

The Daily Star  | English

Expatriates' remittance helps Bangladesh make turnaround: Yunus

It is the expatriates who help sustain the country, says the chief adviser

6h ago