সবার শেষে এসে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়লেন গুলবদিন
গুলবদিন নাইবের নাম আফগানিস্তানের বোলিং আক্রমণে পছন্দের তালিকায় একেবারে শেষের দিকেই থাকবে। পুরো চার ওভার বোলিং করবেন যে তিনি, তা হয়তো নিজেও ভাবেননি ম্যাচের আগে। ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে এসে হাসিমুখে এই অলরাউন্ডার বললেন, 'সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ, রশিদ আমার উপর ভরসা রেখেছে।' বল হাতে নাইবের ওপর ভরসা যদিও রশিদ খান করতে সময় নিয়েছেন অনেক। আফগানিস্তানের অধিনায়ক তাকে বোলিংয়ে আনেননি ইনিংসের প্রথম অর্ধে। একেবারে অষ্টম বোলার হিসেবে তাকে আক্রমণের অংশ বানান রশিদ। অথচ সবার শেষে বোলিংয়ে এসে রেকর্ডের মালিক বনে গেছেন এই ডানহাতি পেসার।
এত দেরিতে বোলিংয়ে এসে তার চেয়ে ভালো বোলিং ফিগার বিশ্বকাপে আর কারো নেই। এমনকি ৮ম বা এর পরের পজিশনে বোলিংয়ে এসে, নাইব বাদে আর কেউ নেই, যিনি যেকোন ফরম্যাটের বিশ্বকাপে দুটির বেশি উইকেট নিতে পেরেছেন। ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের নাসির হোসেইন যা দুটি উইকেট নিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
বিশ্বকাপের বাইরে টি-টোয়েন্টির ইতিহাসেও এই কীর্তির দেখা পাওয়া ক্রিকেটারের সংখ্যা নগণ্য। বোলিংয়ে এসেছেন ৮ম বা তার পরের বোলার হিসেবে, আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪ উইকেট নিয়েছেন, এমন খেলোয়াড়ের সংখ্যা নাইব বাদে মাত্র দুই। ২০১৯ সালে আয়ারল্যান্ডের স্টুয়ার্ট থম্পসন ১৮ রানে খরচে তা করেছিলেন নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচে। ২০২২ সালে ঘানার বিপক্ষে সিয়েরা লিওনের আব্বাস জিব্লা ৯ রানে পেয়েছিলেন ৪ উইকেট।
রবিবার সেন্ট ভিনসেন্টে অজিদের বিপক্ষে নিজের প্রত্যেক ওভারেই উইকেটের দেখা পেয়েছেন গুলবদিন। ১১ রান করা মার্কাস স্টয়নিসকে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ বানিয়ে তিনি ফেরান ১১তম ওভারে। পরের ওভারে এসে টিম ডেভিডকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন ২ রানে। ১৫তম ওভারে এসে আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়ানো গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকেও প্যাভিলিয়নে পাঠান তিনি। ৪১ বলে ৫৯ রান করা ম্যাক্সওয়েল ফিরে যান পয়েন্টে ক্যাচ তুলে। নিজের শেষ ওভারে প্যাট কামিন্সকে বোল্ড করে দিয়ে চতুর্থ উইকেটের দেখা পেয়ে যান ডানহাতি এই পেসার।
আর্নোস ভেল স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের আক্রমণে সবার শেষে নাইবের পরিচিত ঘটে, কিন্তু সেই তিনিই ২০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার নায়ক বনে যান। নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগারের দেখাও পেয়েছেন তিনি এদিনই।
Comments