বিধ্বস্ত বোল্ট জানালেন, চলতি আসরই তার শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
প্রথম দুই ম্যাচ হেরেই নিউজিল্যান্ডের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে। বাকি থাকা একটি ম্যাচ শুধু তাই আনুষ্ঠানিকতার। তবে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে হতে যাওয়া ম্যাচটি ট্রেন্ট বোল্টের জন্য আলাদা তাৎপর্য রাখবে। বাঁহাতি এই পেসার নিশ্চিত করেছেন, চলমান আসরই তার শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
শনিবার নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে উগান্ডাকে স্রেফ ৪০ রানে অলআউট করে দিয়েছে কিউইরা। এরপর ৫.২ ওভারে লক্ষ্য তাড়া করে কেইন উইলিয়ামসনের দল পেয়েছে ৯ উইকেটের বিশাল জয়। ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে ৪ ওভারে ৭ রান দিয়ে ২ উইকেট পান বোল্ট। ম্যাচশেষে বৈশ্বিক আসর থেকে বিদায়ের ব্যাপারে বেশি কিছু যদিও তিনি বলেননি, 'নিজের কথা বললে, এটিই হবে আমার শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তো হ্যাঁ, এটুকুই আমার বলার আছে।'
নিজের শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মলিন মুখেই বিদায় নিতে হচ্ছে বোল্টকে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৮৪ রানে প্রথম ম্যাচে হেরে যায় তার দল। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কিউইরা পেয়েছে ১৩ রানের হার। সবশেষ দশ বছরে প্রথমবারের মতো সাদা বলের কোনো বিশ্বকাপে তাদের তাই বিদায় নিতে হচ্ছে সেমিফাইনালের আগেই।
বৈশ্বিক আসরে নিয়মিত সাফল্য পাওয়া দলটি এবার দ্রুত বিদায়ে হতাশ হবে স্বাভাবিকভাবেই। বোল্টও জানান সেটা, 'হ্যাঁ, অবশ্যই যেমন শুরু চেয়েছিলাম টুর্নামেন্টে, সেভাবে আমরা পারিনি। এটা হজম করা কঠিন ছিল। আমরা (সুপার এইটে) কোয়ালিফাই না করতে পেরে বিধ্বস্ত। এটা দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এরকম হয়।'
নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে ৬০টি টি-টোয়েন্টি খেলা বোল্ট আরও বলেন, 'আমার মনে হয়, টি-টোয়ন্টি ক্রিকেটে যে কোনো কিছুই হতে পারে। অপরিচিত উগান্ডা দলের সঙ্গে মুখোমুখি হয়েছি। পাপুয়া নিউগিনি আছে, অবশ্যই তাদের তেমন দেখিনি। তবে টুর্নামেন্টে দারুণ কিছু অঘটন দেখা গেছে। (অন্য ম্যাচে) নেপাল দুর্ভাগ্যবশত ১ রানে হেরে গেল (দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে)। এই সংস্করণে দুটি (প্রতিদ্বন্দ্বী) দলের পার্থক্য কমে আসা দেখিয়েছে (এই বিশ্বকাপ)।'
কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপে বোল্ট তার শেষ ম্যাচ খেলতে নামবেন আগামী ১৭ জুন। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায় ত্রিনিদাদে পাপুয়া নিউগিনির মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সে ম্যাচটি হবে বোল্টের ১৮তম। এই সংস্করণের বিশ্বকাপে ২০১৪ সাল থেকে প্রত্যেক আসরেই তিনি ছিলেন কিউইদের ডাগআউটে। এ পর্যন্ত খেলা ১৭ ম্যাচে বাঁহাতি এই পেসার মাত্র ৬.০৭ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৩২ উইকেট।
Comments