৪৮ রানের লক্ষ্য ১০১ বল রেখে পেরিয়ে ইংল্যান্ডের রেকর্ড
বোলিংয়ে তোপ দেগে ওমানকে পঞ্চাশ রানের নিচেই অলআউট করে দিলেন ইংল্যান্ডের বোলাররা। এরপর মামুলি লক্ষ্য তাড়ার সহজ কাজটা দলটির ব্যাটাররা সারলেন অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে। স্রেফ ৯৯ বলেই শেষ হয়ে গেল ২৪০ বলের খেলা! রেকর্ডগড়া জয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে খেলার আশা টিকিয়ে রাখল ইংলিশরা।
বৃহস্পতিবার অ্যান্টিগায় 'বি' গ্রুপের একপেশে ম্যাচে ৮ উইকেটে জিতেছে টি-টোয়েন্টির বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। টস জিতে ওমানকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে ১৩.২ ওভারে কেবল ৪৭ রানে গুটিয়ে দেয় তারা। এরপর স্রেফ ৩.১ ওভারেই লক্ষ্য পেরিয়ে যায় জস বাটলারের দল।
১৯ বলে খেলা শেষ করে নতুন কীর্তি গড়ে ইংল্যান্ড। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো দল একশর বেশি বল (১০১) বাকি রেখে জেতে। আগের রেকর্ড ছিল শ্রীলঙ্কার দখলে। তারা ২০১৪ সালের আসরে নেদারল্যান্ডসকে ৩৯ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে জিতেছিল ৯০ বল হাতে রেখে। দৈর্ঘ্যের বিচারে এটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সংক্ষিপ্ততম ম্যাচ। শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডের ওই ম্যাচ শেষ হয়েছিল মাত্র ৯৩ বলে।
ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন ইংল্যান্ডের লেগ স্পিনার আদিল রাশিদ। তিনি ৪ ওভারে ১১ রানে নেন ৪ উইকেট। সমান ১২ রানে খরচায় তিনটি করে শিকার ধরেন দুই পেসার জফ্রা আর্চার ও মার্ক উড। তাদের দাপটে অসহায় ওমানের ১০ জনই সাজঘরে ফেরেন এক অঙ্কে। সাতে নেমে ২৩ বলে একটি চারের সাহায্যে ১১ রান করেন শোয়েব খান।
কুড়ি ওভারের সংস্করণে নিজেদের সর্বনিম্ন ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তৃতীয় সর্বনিম্ন রানে থামে ওমান। বিব্রতকর এই তালিকায় সবার ওপরে যৌথভাবে আছে নেদারল্যান্ডস ও উগান্ডা। ডাচরা ২০১৪ সালের সেই ম্যাচে লঙ্কানদের বিপক্ষে গুটিয়ে গিয়েছিল স্রেফ ৩৯ রানে। চলতি আসরে গত রোববার উগান্ডাকে সমান সংখ্যক রানে অলআউট করে দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ছোট লক্ষ্য মিলিয়ে ফেলতে কালক্ষেপণ করেনি ইংল্যান্ড। ইনিংসের প্রথম দুই বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে তৃতীয় বলে কাটা পড়েন ফিল্ট সল্ট। তিনে নামা উইল জ্যাকস মাঠ ছাড়েন পরের ওভারে। এরপর অধিনায়ক বাটলার ও জনি বেয়ারস্টো নিশ্চিত করেন ইংলিশদের জয়। বিলাল খানের করা তৃতীয় ওভারে চারটি চারের সঙ্গে একটি ছক্কায় ২২ রান আনেন বাটলার।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম জয়ের স্বাদ নেওয়ার পাশাপাশি নেট রানরেটও বাড়িয়ে নিয়েছে ইংল্যান্ড। নেট রানরেটে তারা (৩.০৮১) এগিয়ে গেছে স্কটিশদের চেয়ে (২.১৬৪)। টানা তিন জয়ে ইতোমধ্যে এই গ্রুপ থেকে সুপার এইটে উঠে গেছে অস্ট্রেলিয়া। তাদের সঙ্গী হওয়ার দৌড়ে আছে ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড।
পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা অজিদের ঠিক পেছনেই আছে স্কটিশরা। তাদের অর্জন ৫ পয়েন্ট। ইংল্যান্ডের নামের পাশে আছে ৩ পয়েন্ট। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে স্কটল্যান্ড খেলবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, নামিবিয়াকে মোকাবিলা করবে ইংল্যান্ড।
Comments