যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে সুপার এইটে ভারত
জয় পেলেই সুপার এইট নিশ্চিত। সমীকরণ দুই দলের জন্যই ছিল একই। সেই লড়াইয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সহজেই হারিয়ে শেষ আটের টিকিট কেটেছে ভারত। আর তাদের জয়ে টিকে রইল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের আশাও। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র জিতলেও থাকতো। সেক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি জটিল সমীকরণ মেলাতে হতো পাকিস্তানের।
বুধবার নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের 'এ' গ্রুপের ম্যাচে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১১০ রান তোলে স্বাগতিকরা। জবাবে ১০ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে রোহিত শর্মার দল।
তবে লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। সুপার ওভারে পাকিস্তানকে হারানোর নায়ক সৌরভ নেত্রভালকর দারুণ সূচনা এনে দেন স্বাগতিকদের। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে বিরাট কোহলিকে ফেরানোর পরের ওভারে অধিনায়ক রোহিতকেও ফিরিয়ে দেন তিনি। এরপর দলীয় ৪৪ রানে রিশাভ পান্তকে বোল্ড করে দিয়েছিলেন আলী খান। তাতে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল যুক্তরাষ্ট্র।
তবে চতুর্থ উইকেটে শিভাম দুবের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়ে স্বাগতিকদের সব আশা শেষ করেন দেন সূর্যকুমার যাদব। অবিচ্ছিন্ন ৬৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন এ দুই ব্যাটার। ৪৯ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন সূর্য। দুবে ৩৫ বলে ১টি করে চার ও ছক্কায় করেন ৩১ রান।
এর আগে টস জিতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে প্রথম ওভারেই জোড়া শিকার করে তাদের বড় চাপে ফেলে দেয় ভারত। ইনিংসের প্রথম বলেই শায়ান জাহাঙ্গীরকে ফেরানোর পর শেষ বলে ফেরান আন্দ্রেয়াস গাউসকে। ফলে পাওয়ার প্লেতে ১৮ রানের বেশি করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র।
অষ্টম ওভারে ফিরে বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম জয়ের নায়ক অ্যারন জোন্সকে ফিরিয়ে সেই চাপ আরও বাড়িয়ে দেন হার্দিক পান্ডিয়া। এরপর অবশ্য স্টিভ টেইলরের সঙ্গে জুটি গড়ে চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেন নিতিশ কুমার। তবে স্কোরবোর্ডে ৩১ রান যোগ করার পর টেইলরকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন আকসার প্যাটেল।
এরপর কোরি অ্যান্ডারসনের সঙ্গে ২৫ রানের জুটি গড়ে আর্শদিপের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন নিতিশ। আর অ্যান্ডারসনকে ফেরান পান্ডিয়া। ফলে একশর আগেই লেজ বেড়িয়ে যায় দলটির। হারমিত সিংকে আর্শদিপ দ্রুত ফিরিয়ে দিলে কোনোমতে একশ পার করা স্কোর নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় স্বাগতিকদের।
২৩ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৭ রানের ইনিংস খেলেন নিতিশ। ৩০ বলে ২টি ছক্কায় ২৪ রান করেন টেইলর। ভারতের পক্ষে ৪ ওভার বল করে মাত্র ৯ রানের খরচায় ৪টি উইকেট নেন আর্শদিপ। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের সেরা বোলিং ফিগার। এছাড়া ২টি উইকেট নেন পান্ডিয়া।
Comments