চট্টগ্রামে ৮০টি এলাকা থেকে পাওয়া পুরাকীর্তির প্রদর্শনী

চট্টগ্রাম সদর, সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড ও হাটহাজারী উপজেলায় জরিপ চালিয়ে এসব পুরাকীর্তির সন্ধান পাওয়া যায়।
চট্টগ্রামে পাওয়া পুরাকীর্তি নিয়ে জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘরে উন্মুক্ত প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। ছবি: স্টার

চট্টগ্রামের প্রথমবারের মতো হওয়া প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপে ৮০টি এলাকায় পুরাকীর্তি পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম সদর, সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড ও হাটহাজারী উপজেলায় জরিপ চালিয়ে এসব পুরাকীর্তির সন্ধান পাওয়া যায়।

আজ বুধবার চট্টগ্রাম জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘরে এসব পুরাকীর্তি নিয়ে একটি উন্মুক্ত প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা বলেন, এসব পুরাকীর্তি সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও প্রচার করা গেলে এই এলাকায় পর্যটনের দুয়ার উন্মুক্ত হবে।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি ও সংস্কৃত ভাষা বিভাগের অধ্যাপক একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ড. জিনোবোধি ভিক্ষু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. সালমা বিনতে শফিক।

তারা বলেন, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের এই উদ্যোগ সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। তারা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জরিপ ও অনুসন্ধানের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা খুঁজে বের করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছেন।

ড. জিনোবোধি ভিক্ষু বলেন, প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাগুলো আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য ও সম্পদ। তাই এইগুলো সংরক্ষণের যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কোনো বিভাগীয় কার্যালয় না থাকা অত্যন্ত বেদনার। তিনি চট্টগ্রামে প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের একটি বিভাগীয় কার্যালয় স্থাপনের জোর দাবি জানান।

অধ্যাপক সালমা বলেন, জাদুঘর হলো শিক্ষার্থীদের তীর্থস্থান। আর প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হলো জাদুঘরের প্রাণ। তিনি বলেন, এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে চট্টগ্রামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য আরও সমৃদ্ধ হলো।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ দলের তত্ত্বাবধায়ক ড. মো. আতাউর রহমান। তিনি বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে কোনো সময় চট্টগ্রামে প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ ও অনুসন্ধান কাজ পরিচালনা করা হয়নি।

'চট্টগ্রামের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো হওয়া এই প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপে ৮০টি প্রত্নতাত্ত্বিক সাইট পাওয়া গেছে যার যথাযথ সংরক্ষণ ও প্রচারের মাধ্যমে পর্যটন সম্ভাবনার দুয়ার উন্মুক্ত হবে,' যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi-Americans eager to help build new Bangladesh

July uprising and some thoughts of Bangladeshi-Americans

NRBs gathered in New Jersey showed eagerness to assist in the journey of the new Bangladesh forward.

5h ago