টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

নামিবিয়াকে উড়িয়ে সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়া

Adam Zampa

জিতলেই সুপার এইট নিশ্চিত করা হয়ে যেত অস্ট্রেলিয়ার। সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা সেই কাজ সারল দাপট দেখিয়ে। অ্যাডাম জাম্পার তোপের পর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে গেরহার্ড এরাসমাসের দলকে স্রেফ উড়িয়েই দিয়েছে অজিরা। নামিবিয়াকে স্রেফ ৭২ রানে অলআউট করে দিয়ে লক্ষ্য তাড়া করতে নেননি ৫.৪ ওভারের বেশি। ৯ উইকেটের জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার পর দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ আটে তাই জায়গা করে নিল মিচেল মার্শের দল।

বুধবার অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ৮৬ বল হাতে রেখে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বলের হিসাবে এর চেয়ে বড় জয় আছে মাত্র একটি। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ২০১৪ সালে ৯০ বল হাতে রেখে জিতেছিলেন লঙ্কানরা। 

অস্ট্রেলিয়ার কাজটা মূলত সেরে দিয়েছিলেন বোলাররাই। বোলিংয়ে আসা সকলেই উইকেটের খাতায় নাম লিখিয়েছেন। তবে সেরা বোলিং পারফরম্যান্সটা এসেছে অ্যাডাম জ্যাম্পার কাছ থেকে। ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন এই লেগি। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে গড়েছেন ১০০ উইকেটের মাইলফলক। জশ হ্যাজলউড ও মার্কাস স্টয়নিস পেয়েছেন দুটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট ঢুকেছে প্যাট কামিন্স ও ন্যাথান এলিসের ঝুলিতে। 

টস হেরে ব্যাট করতে নামা নামিবিয়ার মাত্র দুজন ব্যাটার দুই অঙ্কের রান করতে পেরেছেন। অধিনায়ক একা লড়েছেন ৪৩ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলে। কিন্তু শেষমেশ অজিদের বোলিং তোপে তিন ওভার বাকি থাকতেই তাদের অলআউট হতে হয়েছে। এরপর ৭২ রানের পুঁজি নিয়ে নামিবিয়াকে লড়াই পর্যন্ত করতে দেয়নি অস্ট্রেলিয়া।

শুরু থেকেই আক্রমণে মন দেওয়া দুই ওপেনার দ্রুতই ব্যবধান কমিয়ে দেন। ডেভিড ওয়ার্নার ৮ বলে ৩টি চার ও ১ ছক্কা ২০ রানের ইনিংস খেলে থেমে গেলেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতেই খেল খতম করে ফেলে অজিরা। ১৭ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন ট্রাভিস হেড। ৯ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৮ রান করে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার আনন্দ নিয়ে মাঠ ছাড়েন মার্শ। 

বোলিংয়ে তৃতীয় ওভারেই নিকো ডেভিনকে ৩ রানে ফিরিয়ে দিয়ে দুর্দান্ত শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। পরের দুই ওভারে আরও দুটি উইকেট তুলে নিয়ে নামিবিয়াকে পিছিয়ে দেয় তারা। কামিন্সের বলে মিডঅফের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ইয়ান ফ্রাইলিঙ্ক আউট হন ১ রানে। মাইকেল ফন লিনগেন কিছুক্ষণ ক্রিজে থাকলেও ১০ রানের বড় হয়নি তার ইনিংস। ডেভিনের পর হ্যাজলউডের দ্বিতীয় শিকার বনে তিনি ফিরে যান ১০ বলে ২ চারের ইনিংস খেলে। 

পাওয়ারপ্লেতে ১৭ রান আনা নামিবিয়াকে মাঝের ওভারে গুড়িয়ে দেন জ্যাম্পা। জ্যাম্পার আগে নামিবিয়ার চতুর্থ উইকেট তুলে দেন একাদশে ফেরা এলিস। জেজে স্মিটকে ৩ রানে এলবিডব্লিউ করেন এই পেসার। এরপর একে একে চারজনকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান জ্যাম্পা। জেন গ্রিন, ডেভিড ভিসা দুজনেই ফিরে যান ১ রান করে। রুবেন ট্রাম্পেলম্যানকে ৭ রানে ও বার্নার্ড শুলজকে ০ রানে ফেরান জ্যাম্পা। ১৩তম ওভারে ৪৩ রানে যখন অষ্টম উইকেট খুইয়ে ফেলে নামিবিয়া, তখনও একপাশে ছিলেন এরাসমাস। 

শেষমেশ অধিনায়ক দলকে টেনে নিয়ে যান ১৭তম ওভার পর্যন্ত। ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৬ রানের ইনিংস খেলে সে ওভারেই আউট হয়ে যান তিনি। এরপর নামিবিয়ার শেষ উইকেট তুলে নিতেও অজিদের অপেক্ষা করতে হয়নি চার বলের বেশি। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে এই ম্যাচ থেকে দুই পয়েন্ট পেতেও তাদের অপেক্ষা করতে হয়নি বেশি সময়।

Comments

The Daily Star  | English

You have crushed fascism, now strengthen democracy and press freedom

The Daily Star Editor Mahfuz Anam's appeal to the ‘new generation leaders’

12h ago